Murder: মেয়েকে সন্দেহ করার প্রতিবাদ করায় শাশুড়িকে কোপ মেরে খুন জামাইয়ের
Amdanga Murder: অভিযোগ জামাই পলাশ কাহার ক্রমাগত সন্দেহ করতে থাকে অনিতাকে।
উত্তর ২৪ পরগনা : পরিবারে অশান্তি নিত্যদিনের ঘটনা। মেয়ের সঙ্গে জামাইয়ের মনোমালিন্য কিছুতেই মেটে না। অনেক চেষ্টা করেও মেলেনি কোনও সুরাহা। মেয়েকে ক্রমাগত সন্দেহ করতে থাকে জামাই। আর তার প্রতিবাদ করতেই শ্বাশুড়ির গলায় কোপ মেরে তাঁকে খুন করল অভিযুক্ত।
উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙার বোদাই গ্রামের ঘটনা। অভিযুক্ত জামাইয়ের নাম পলাশ কাহার (Palash Kahar)। কয়েক বছর আগে অনিতা কাইপূত্রের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই সংসারে অশান্তি বাধে তাদের। অভিযোগ জামাই পলাশ কাহার ক্রমাগত সন্দেহ করতে থাকে অনিতাকে। এই নিয়ে সংসারে অশান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায়। সেই অশান্তির প্রতিবাদ করে অভিযুক্তর শাশুড়ি।
পরিবারের অভিযোগ আজ সকালে কাজে যাওয়ার সময় অভিযুক্ত জামাই মুখ চেপে ধরে শাশুড়ি। তাকে জঙ্গলে টেনে নিয়ে গিয়ে গলায় কোপ মেরে খুন করে। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থানেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে বারাসত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত্যু নিশ্চিত করেন চিকিৎসকরা।
ঘটনার পর এলাকা থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত জামাই। আজ আমডাঙা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে গোটা পরিবার। দোষীর উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন তারা। পুলিশ তদন্ত শুরু করছে।তবে এখনও অভিযুক্তর সন্ধান মেলেনি।
উল্লেখ্য, এর আগে মুম্বইয়েও এমন হাড়হিম কড়া ঘটনা খবরে আসে। পুলিশ সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, অভিযুক্ত যুবক হার ছিনতাইয়ের ঘটনায় গত তিন বছর ধরে জেলে ছিল। ১ সেপ্টেম্বর সেখান থেকে ছাড়া পায় সে। এরপর স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য শ্বশুরবাড়ি যায়। সেখানে গিয়ে জানতে পারে তার স্ত্রী অন্য একজনকে বিয়ে করেছেন এবং তিনি বর্তমানে অন্তঃসত্ত্বা। তখন ওই যুবক স্ত্রীকে হুমকি দেয় তিনি যেন তাঁর বর্তমান স্বামীকে ছেড়ে দেন। পরের দিন আবার সেখানে যায় অভিযুক্ত। গিয়ে জানতে পারে যে স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছে। কোথায় গিয়েছে জানতে চায় শাশুড়ির কাছে। কিন্তু তার কোনও উত্তর দেয়নি পৌঢ়া।
এরপরই নারকীয় হত্যা চালায় অভিযুক্ত। প্রথমে ওই প্রৌঢ়ার মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে তারপর তার বুকে ছুড়ি মারে। ঘটনাস্থানেই মৃত্যু হয় তাঁর। এরপরও থেমে থাকেনি যুবক। মৃতের যৌনাঙ্গে বাঁশ ঢুকিয়ে তাঁর প্রত্যঙ্গ বের করে আনে সে। খুনের পর ঘটনাস্থান থেকে পালিয়ে পুণে চলে যায়। পুলিশ সেখান থেকে গ্রেফতার করেছে তাকে। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ নম্বর ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওই অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।