Sougata Roy: ‘ছোট থেকে যাদের দেখে আসছি, তারা যখন দুর্নীতিগ্রস্ত, খারাপ লাগে’, ফের প্রকাশ্যে সৌগতর ভিন্ন-সুর

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Oct 19, 2022 | 3:06 PM

Sougata Roy: দলের বিজয়া সম্মেলনীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে আক্ষেপের সুর ধরা পড়ল তৃণমূল সাংসদের গলায়।

Follow Us

বরাহনগর: পানিহাটির পর এবার বরাহনগর। ফের একবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। দলের বিজয়া সম্মেলনীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে আক্ষেপের সুর ধরা পড়ল তৃণমূল সাংসদের গলায়। তিনি বলেছেন, ‘দলের কাউকে দুর্নীতিতে যুক্ত থাকলে দেখলে বড় ব্যথিত হই।’

কী বলেন সৌগত?
বুধবার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। সেই ভিডিয়োয় তৃণমূল সাংসদকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি ব্যথিত হই যখন দেখি আমাদের পার্টির কিছু লোক দুর্নীতি করছে। আমার খারাপ লাগে যাদের ছোট থেকে দেখেছি তারা যখন দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে যায়। এই যে চাকরিতে লোক ঢোকাতে হবে ইত্যাদি, ইত্যাদি এই পদ্ধতির মধ্যে গেলে কোথায় শেষ হবে কেউ জানে না। আমি ভুল হতে পারি কিন্তু আমার ধারণা তৃণমূলের ৯৫ শতাংশ নেতা কর্মী সৎ। অসৎরা উঠে আসে। কিন্তু যাঁরা সৎ তাঁদের কথা কেউ বলে না।’

একা সৌগত নন, দলের বিজয়া সম্মিলনীতে দুর্নীতির দায়ে জেলবন্দিদের থেকে দূরত্ব তৈরির চেষ্টা করলেন দমদম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পার্থ ভৌমিকও। পার্থবাবু বলেন, ‘তৃণমূলকে ব্যবহার করে কেউ কোনও দুর্নীতি করতে তৃণমূল পরিবার তার পাশে দাঁড়াবে না। দলের কোনও নেতা ভুল করলে পুরো দলকে সেজন্য দায়ী করা যায় না। কোনও ডাক্তারের হাতে কোনও রোগীর মৃত্যু হলে তিনি কি ডাক্তারি ছেড়ে দেন?’

সৌগত ও পার্থ মন্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমার মনে পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের কাছে এসব বক্তব্যের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। তাঁদের আজ এই বক্তব্য শুনলে রাস্তার ইট কাঠ পাথরও বেঁচে উঠতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে চাকরি বিক্রি চলল। আর গত ৮ বছর ধরে গলি থেকে রাজপথ এ নিয়ে চর্চা চলেছে, তাদের চোখের সামনে এই লুঠ সংগঠিত হয়েছে। রাজ্য সরকারের যত নিয়োগ হয়েছে সমস্ত জায়গায় দুর্নীতি। দল যে দুর্নীতিগ্রস্ত তাঁরা আগের থেকেই জানতেন। আজকে তৃণমূল এবং দুর্নীতি একটা সমর্থক শব্দ।’

অপরদিকে, সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘সৌগত রায় অধ্যাপক। অনেকদিনের। হাতে হাতে টাকা নিয়েছেন। তাতে লজ্জিতবোধ করেননি। দলের কেউ বললেনি কেন এটা করলেন। অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ, তৃণমূলের সবাই চোরের অংশীদার নয়, কিন্তু মাথাটা পচে গিয়েছে।’

যদিও তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘ছোটখাটো কয়েকটি জায়গায় কিছু ক্ষেত্রে কয়েকজন মানুষ যদি ভুল করেন, অন্যায় করেন, তা সংশোধন হচ্ছে। অন্যায় হয়ে থাকলে দল ব্যবস্থা নিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী ব্যবস্থা নিয়েছেন। কারা সমালোচনা করছে? বিজেপি আর সিপিএম? এদের জন্য ত্রিপুরায় ১০ হাজার ৩২৩ জন শিক্ষকের চাকরি চলে গিয়েছে। সৌগত রায়ের মতো বর্ষীয়ান সাংসদরা আত্মসমালোচনার মধ্য দিয়ে দলকে আরও সঠিক লাইনে রাখার চেষ্টা করছেন।’

উল্লেখ্য, এই প্রথম নয় এর আগেও দুর্নীতি ইস্যুতে মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছিল বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদকে।উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটির বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে এসে দলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘যাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ মামলা চলছে, তাঁদের পক্ষে দল দাঁড়াবে না। তাঁদের নিজেদেরই নিজেদের রক্ষা করতে হবে। আমরা দলের পক্ষ থেকে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছি। কোনও দুর্নীতির সঙ্গে আমরা আপোস করব না।’ এরপর ফের একবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেল সৌগত রায়কে।

 

বরাহনগর: পানিহাটির পর এবার বরাহনগর। ফের একবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। দলের বিজয়া সম্মেলনীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে আক্ষেপের সুর ধরা পড়ল তৃণমূল সাংসদের গলায়। তিনি বলেছেন, ‘দলের কাউকে দুর্নীতিতে যুক্ত থাকলে দেখলে বড় ব্যথিত হই।’

কী বলেন সৌগত?
বুধবার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। সেই ভিডিয়োয় তৃণমূল সাংসদকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি ব্যথিত হই যখন দেখি আমাদের পার্টির কিছু লোক দুর্নীতি করছে। আমার খারাপ লাগে যাদের ছোট থেকে দেখেছি তারা যখন দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে যায়। এই যে চাকরিতে লোক ঢোকাতে হবে ইত্যাদি, ইত্যাদি এই পদ্ধতির মধ্যে গেলে কোথায় শেষ হবে কেউ জানে না। আমি ভুল হতে পারি কিন্তু আমার ধারণা তৃণমূলের ৯৫ শতাংশ নেতা কর্মী সৎ। অসৎরা উঠে আসে। কিন্তু যাঁরা সৎ তাঁদের কথা কেউ বলে না।’

একা সৌগত নন, দলের বিজয়া সম্মিলনীতে দুর্নীতির দায়ে জেলবন্দিদের থেকে দূরত্ব তৈরির চেষ্টা করলেন দমদম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পার্থ ভৌমিকও। পার্থবাবু বলেন, ‘তৃণমূলকে ব্যবহার করে কেউ কোনও দুর্নীতি করতে তৃণমূল পরিবার তার পাশে দাঁড়াবে না। দলের কোনও নেতা ভুল করলে পুরো দলকে সেজন্য দায়ী করা যায় না। কোনও ডাক্তারের হাতে কোনও রোগীর মৃত্যু হলে তিনি কি ডাক্তারি ছেড়ে দেন?’

সৌগত ও পার্থ মন্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমার মনে পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের কাছে এসব বক্তব্যের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। তাঁদের আজ এই বক্তব্য শুনলে রাস্তার ইট কাঠ পাথরও বেঁচে উঠতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে চাকরি বিক্রি চলল। আর গত ৮ বছর ধরে গলি থেকে রাজপথ এ নিয়ে চর্চা চলেছে, তাদের চোখের সামনে এই লুঠ সংগঠিত হয়েছে। রাজ্য সরকারের যত নিয়োগ হয়েছে সমস্ত জায়গায় দুর্নীতি। দল যে দুর্নীতিগ্রস্ত তাঁরা আগের থেকেই জানতেন। আজকে তৃণমূল এবং দুর্নীতি একটা সমর্থক শব্দ।’

অপরদিকে, সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘সৌগত রায় অধ্যাপক। অনেকদিনের। হাতে হাতে টাকা নিয়েছেন। তাতে লজ্জিতবোধ করেননি। দলের কেউ বললেনি কেন এটা করলেন। অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ, তৃণমূলের সবাই চোরের অংশীদার নয়, কিন্তু মাথাটা পচে গিয়েছে।’

যদিও তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘ছোটখাটো কয়েকটি জায়গায় কিছু ক্ষেত্রে কয়েকজন মানুষ যদি ভুল করেন, অন্যায় করেন, তা সংশোধন হচ্ছে। অন্যায় হয়ে থাকলে দল ব্যবস্থা নিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী ব্যবস্থা নিয়েছেন। কারা সমালোচনা করছে? বিজেপি আর সিপিএম? এদের জন্য ত্রিপুরায় ১০ হাজার ৩২৩ জন শিক্ষকের চাকরি চলে গিয়েছে। সৌগত রায়ের মতো বর্ষীয়ান সাংসদরা আত্মসমালোচনার মধ্য দিয়ে দলকে আরও সঠিক লাইনে রাখার চেষ্টা করছেন।’

উল্লেখ্য, এই প্রথম নয় এর আগেও দুর্নীতি ইস্যুতে মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছিল বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদকে।উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটির বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে এসে দলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘যাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ মামলা চলছে, তাঁদের পক্ষে দল দাঁড়াবে না। তাঁদের নিজেদেরই নিজেদের রক্ষা করতে হবে। আমরা দলের পক্ষ থেকে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছি। কোনও দুর্নীতির সঙ্গে আমরা আপোস করব না।’ এরপর ফের একবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেল সৌগত রায়কে।

 

Next Article