বসিরহাট: তৃণমূলের পঞ্চায়ের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনল তৃণমূল নেতারাই। বসিরহাট মহকুমার বাদুড়িয়া বিধানসভার শায়েস্তানগর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছে অন্যান্য সদস্যরা। তাঁদের দাবি, ব্যাপক দুর্নীতির ও স্বজনপোষণের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
এই পঞ্চায়েতে মোট আসন ১৪টি। তার মধ্যে তৃণমূলের ৭টি, কংগ্রেস ২টি, নির্দল ৩ টি ও বিজেপির ২টি। বর্তমানে তৃণমূলের প্রধান হিসেবে রয়েছেন শামসুর নাহার বিবি ও উপপ্রধান সমীর দাস। এই প্রধান ও উপপ্রধানের বিরুদ্ধেই আর্থিক দুর্নীতি, স্বজন পোষণের অভিযোগ উঠেছে। কাজ না করে সেই বিল দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের মতো একাধিক অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। তৃণমূলেরই নির্বাচিত সদস্যরা অভিযোগ এনেছে।
দীর্ঘদিন ধরে এদের বিরুদ্ধে দলেরই পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সাত সদস্য, নির্দল ও কংগ্রেসের সদস্যরাও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল। চলতি মাসের ৩ অগস্ট স্বরূপনগরের বিডিও গোপালকৃষ্ণ ধাড়ার কাছে অনাস্থা এনে চিঠি দেওয়া হয়। পাশাপাশি, জেলা তৃণমূল-কংগ্রেসের কাছে তাদেরই এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এ দিন দলেরই ৭ তৃনমূল সদস্য ও বিরোধী দলের বেশ কয়েকজন সদস্য প্রকাশ্যে অনাস্থা নিয়ে আসে।
শায়েস্তানগর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্য আমিরুল ইসলাম ও মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে মিছিল করে তৃণমূল থেকে নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে। পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা গৃহীত হওয়ার জন্য সেই প্রস্তাব লিখিত আকারে জমা দেন তাঁরা। যদিও এই ব্যাপারে বর্তমান প্রধান শামসুর নাহার বিবি ও উপপ্রধান সমীর দাস কিছু বলতে চাননি। তৃণমূল নেতাদের দাবি, পঞ্চায়েত প্রধান যে দুর্নীতি করেছে, তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শের বিরোধী। এক তৃণমূল নেতা মিজানুর ইসলাম বলেন, ‘এত বেশি দুর্নীতি হয়েছে, যা বলতে সারা রাত লেগে যাবে। তাই এই অনাস্থা আনা হয়েছে। আরও পড়ুন: পুলিশের সঙ্গে বচসা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে গ্রেফতার করল পুলিশ