Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Madan Mitra: ‘ব্যাপক দুর্নীতি…এ আর পোষাচ্ছে না’, বিস্ফোরক মদন

Madan Mitra: মদন মিত্র বলেন, "সারা কামারহাটিতে চলাফেরার আর জায়গা নেই। আবর্জনায় ভরে গিয়েছে। আবার পুকুর বুজিয়ে বাড়ি হচ্ছে। অবৈধ বহুতল হচ্ছে। রোজ অভিযোগ আসছে। এ আর পোষাচ্ছে না।"

Madan Mitra: 'ব্যাপক দুর্নীতি...এ আর পোষাচ্ছে না', বিস্ফোরক মদন
মদন মিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 02, 2024 | 4:28 PM

কামারহাটি: তিনি কামারহাটির বিধায়ক। কামারহাটি পুরসভাও তৃণমূলের দখলে। নিজের দলের দখলে থাকা পুরসভার বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক মদন মিত্র। এলাকায় আবর্জনা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করে মধ্যযুগীয় অরাজকতার কথা টেনে আনলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল বিধায়ক। পুর পরিষেবা শিকেয় উঠেছে বলে তোপ দাগলেন। শুধু এখানেই থামলেন না কামারহাটির বিধায়ক। পুকুর বুজিয়ে বাড়ি ও অবৈধ বহুতল হচ্ছে বলেও বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন। অবৈধ বহুতলের অভিযোগ স্বীকার করলেন পুর চেয়ারম্যান। দিলেন সাফাইও।

কামারহাটি পুরসভার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে মঙ্গলবার মদন মিত্র বলেন, “সারা কামারহাটিতে চলাফেরার আর জায়গা নেই। আবর্জনায় ভরে গিয়েছে। আবার পুকুর বুজিয়ে বাড়ি হচ্ছে। অবৈধ বহুতল হচ্ছে। রোজ অভিযোগ আসছে। এ আর পোষাচ্ছে না।” সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যানের ওয়ার্ডে পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল। শুধু চেয়ারম্যানের ওয়ার্ড নয়, কামারহাটি পৌরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে কম ভোট পেয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়। মদন বলেন, কয়েকটি ওয়ার্ডে বেশি ভোট না পেলে কামারহাটি পুরসভা এলাকায় তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায় পিছিয়ে পড়তে পারতেন। কামারহাটিতে ব্যাপক দুর্নীতি তার কারণ বলে মন্তব্য করলেন তিনি। তাঁর কথায়, “প্রধানত দুটি অভিযোগ উঠে আসছে। পুকুর বুজিয়ে বাড়ি। আর চারতলা বাড়ির অনুমোদন করিয়ে ৬ তলা বাড়ি হচ্ছে। রোজ অভিযোগ আসছে।”

বিধায়কের অভিযোগ নিয়ে সাফাই দিলেন কামারহাটির পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা। আবর্জনা জমে থাকা নিয়ে পুর চেয়ারম্যান বলেন, “বাড়ি বাড়ি আবর্জনা সংগ্রহের জন্য কর্মী রয়েছেন। গাড়ি রয়েছে। ফলে আবর্জনা জমার কথা নয়। কিন্তু, বিধায়ক যখন বলেছেন কাউন্সিলরদের সঙ্গে কথা বলব।” পুকুর বুজিয়ে বাড়ির প্রসঙ্গে পুর চেয়ারম্যান বলেন, “কোথায় প্ল্যান ছাড়া বাড়ি হচ্ছে, আমার বিধায়ক জানেন। পুরসভার তরফেও নোটিস দেওয়া হয়েছে। আমরা থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।”

মদনের বক্তব্য নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষা করে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “উনি যা বলেছেন ঠিক বলেছেন। মানুষের কথা বলছেন। তবে মদনদার কথাকে গুরুত্ব দেবেন না। কারণ, উনি ভোল বদলাতে বেশি সময় নেন না। তাই ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন।”

২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের সময় কামারহাটি বিধানসভা আসনে জিতেছিলেন মদন মিত্র। কিন্তু, ২০১৬ সালে সিপিএমের মানস মুখোপাধ্যায়ের কাছে হেরে যান। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ফের কামারহাটি থেকে জিতে বিধানসভায় গিয়েছেন মদন। ফলে কামারহাটির সঙ্গে অনেকদিনেরই যোগ মদন মিত্রের। সেই মদন মিত্র এবার দলেরই পরিচালিত পুরসভার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলায় রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়েছে। মদন মিত্র কি ২ দিনের মধ্যে ‘ভোল’ বদলাবেন? এখন শুধুই অপেক্ষা।