উত্তর ২৪ পরগনা: টিভি নাইন বাংলার খবরের জের। অশোকনগরের (Ashoknagar) একটি টিকাকেন্দ্রে টিকা নিতে এসে পুলিশের লাঠিচার্জের মুখে পড়েন টিকাপ্রাপকেরা। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্কের জেরে দফায় দফায় বৈঠক করেন মহকুমা শাসক। সাসপেন্ড করা হয় এএসআই মধুসূদন দলদারকে। এরপর , ফের শুক্রবার জেলা প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক বসে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নোডাল অফিসার ওঙ্কার সিং মিনা স্বাস্থ্য সচিব সঞ্জয় বানচাল ও জেলা প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবারের টিকা-বিভ্রাটের ঘটনার পরেই এই পদক্ষেপ করে প্রশাসন। এ বার থেকে জেলার সমস্ত টিকাকরণ কেন্দ্রে কোথায় কত টিকা রয়েছে এবং অনলাইনে কতজন নথিভুক্ত করেছেন সেই সমস্ত খুঁটিনাটি পর্যবেক্ষণ করা হবে। নজরদারি চালাবে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের তিন প্রতিনিধি।
বৈঠক শেষে জানালেন জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত বলেন, “পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিক কেন অনলাইনে টিকাকরণের জন্য আবেদন গ্রহণ করেও টিকা দেননি, পুলিশের ভূমিকা কী ছিল, কেন লাঠিচার্জ করা হল, সেই সমস্ত কিছুই খতিয়ে দেখা হবে।” পাশাপাশি, করোনার আসন্ন তৃতীয় ঢেউ নিয়ে কী পদক্ষেপ করা যায় তা নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা শাসক সুমিত গুপ্ত।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার, অশোকনগরের এক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা (COVID Vaccination) না পেয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন টিকাপ্রাপকরা। সেই বিক্ষোভে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। অভিযোগ, প্রশাসনের তরফে এমন কোনও নির্দেশই দেওয়া হয়নি। তাহলে কার নির্দেশে এই লাঠিচার্জ করে পুলিশ? টিভি নাইন বাংলার ক্যামেরায় সেই ছবি ধরা পড়তেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। লাঠি চার্জের ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন বারাসাতের মহকুমা শাসক সোমা সাউ। কেন পুলিশকে লাঠি চালাতে হল তাই নিয়ে পৌর প্রশাসনিক স্তরে বৈঠকেও বসেন অধিকর্তারা। আরও পড়ুন: ভিডিয়ো: টিকা চাইলেন প্রাপকরা, জুটল পুলিশের লাঠি!