WBJEE2021 Result: জয়েন্টে প্রথম হওয়া পাঞ্চজন্যর ইচ্ছে পদার্থবিদ্যায় গবেষণা, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীর স্বপ্ন ইঞ্জিনিয়ারিং

TV9 Bangla Digital | Edited By: সৈকত দাস

Aug 06, 2021 | 8:57 PM

WBJEE: শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে রাজ্য জয়েন্টের ফলাফল। ফল বেরতে দেখা গেল জেলার জয়জয়কার। জয়েন্টে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারী তিন ছাত্রের বাড়ি যথাক্রমে উত্তর ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া ও নদিয়া জেলায়।

WBJEE2021 Result: জয়েন্টে প্রথম হওয়া পাঞ্চজন্যর ইচ্ছে পদার্থবিদ্যায় গবেষণা, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীর স্বপ্ন ইঞ্জিনিয়ারিং
নিজস্ব চিত্র

Follow Us

বারাকপুর, বাঁকুড়া ও নদিয়া: শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে রাজ্য জয়েন্টের ফলাফল। ফল বেরতে দেখা গেল জেলার জয়জয়কার। জয়েন্টে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারী তিন ছাত্রের বাড়ি যথাক্রমে উত্তর ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া ও নদিয়া জেলায়।

এবছর জয়েন্টে প্রথম হয়েছেন খড়দহের বাসিন্দা পাঞ্চজন্য দে। রহড়া ডাঙ্গাপাড়া বটতলা বাসিন্দা পাঞ্চজন্য দে রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র। তবে লাজুক এই ছাত্র জানাচ্ছেন, ধরাবাঁধা কিছু নিয়ম মেনে পড়াশোনা করতেন না। দিনে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টাই যথেষ্ট। লকডাউনের মধ্যে একটু অসুবিধায় পড়েছিলেন অবশ্য। তবে অনলাইন ক্লাসে পরে মানিয়ে নিয়েছেন।

মাধ্যমিকে ৬৬৯ পেয়েছিলেন পাঞ্চজন্য। এমন রেজাল্টের পর এখনও তিনি নাকি ঠিক করেননি কী নিয়ে পড়বেন। তবে টিভি দেখে নিজের ফল জানতে পারা লাজুক পাঞ্চজন্যের কথায়, ‘ভাল লাগছে। ব্যাস, এটুকুই।’ ছেলের এমন রেজাল্টে স্বভাবতই দারুণ খুশি বাবা প্রবাল দে এবং মা চন্দ্রানী দেবী। বাবা-মা বলছেন ছেলে যেটা নিয়ে পড়তে চায় সেটা নিয়েই তাকে পড়ানো হবে। ছেলের ইচ্ছেই তাঁদের মূলত ইচ্ছে। আর জয়েন্টে প্রথম হওয়া পাঞ্চজন্য জানাচ্ছেন পদার্থবিদ্যায় গবেষণা করার ইচ্ছে তাঁর।

বাঁকুড়া জেলা স্কুলের ছাত্র সৌম্যজিতের বিশ্বাসই হচ্ছে না যে তিনি জয়েন্টে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন। তাঁর কথায়, “আশা ছিল একশোর মধ্যে নাম থাকবে। তবে সেকেন্ড হব ভাবিইনি।” সৌম্যজিৎ জানাচ্ছেন, শিক্ষকদের জন্যই তাঁর এত ভাল ফল হয়েছে। বাড়ির সবার অনুপ্রেরণা আর শিক্ষকদের পাশে থাকাই তাঁকে সাফল্য এনে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন বাঁকুড়া জেলা স্কুলের এই ছাত্র। ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়র হতে চান তিনি।

কিন্তু বাবা তো এলাকার স্বনামধন্য চিকিৎসক। তিনি কেন ইঞ্জিনিয়র হতে চান? সৌম্যজিতের জবাব, ফিজিক্স বেশি ভালো লাগে। তাই ডাক্তারি নয়, ইঞ্জিনিয়ারিংই তাঁকে বেশি টানে। পড়াশোনার পাশাপাশি নিয়মিত খেলাধুলা করেন তিনি। তাছাড়া সময় পেলেই নানা রকম গল্পের বই নিয়ে ডুবে থাকেন সৌম্যজিৎ।

জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় এ বছর রাজ্যের মধ্যে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন নদিয়ার শান্তিপুর মিউনিসিপ্যাল উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ব্রতীন মন্ডল। নদিয়ার শান্তিপুর তেলিপাড়া মনসাতলা এলাকার বাসিন্দা ব্রতীন। ২০১৯ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৬৮৯ নম্বর পেয়ে রাজ্যের মধ্যে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন ব্রতীন। আর উচ্চমাধ্যমিকে পেয়েছেন ৪২০। ব্রতীনের বাবা এবং মা দু’জনেই পেশায় স্কুল শিক্ষক।

আগাগোড়া মেধাবী ছাত্র হিসাবে পরিচিত ব্রতীনের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষাতেও তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। শুধুমাত্র শান্তিপুর তো নয়, তিনি এখন নদিয়া জেলার গর্ব। তাঁর ফলের খবর পাওয়ার পরেই উল্লাসে ফেটে পড়ে ব্রতীন এর পরিবার। পাশাপাশি ফলাফলের খবর আসতেই উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন শান্তিপুর মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাঁরা জানাচ্ছেন, ব্রতীন যে এমন কাণ্ড ঘটাবেন তা তাঁরা আন্দাজ করেছিলেন।

এদিকে বর্তমানে ব্রতীন এবং তার মা-বাবা কলকাতার বাড়িতে রয়েছেন। আর ব্রতীন জানাচ্ছেন, দিনে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পড়াশোনা ছিল তাঁর রুটিন। ব্রতীনের স্বপ্ন বেসিক সায়েন্স অথবা আইআইটি-তে ইঞ্জিনিয়ারিং করতে চান। তিনি জানাচ্ছেন, কোচিং থেকে ক্লাস, সবটাই করেছেন মন দিয়ে। ব্রতীনের দাদু বলছেন, নাতি সাঙ্ঘাতিক পড়াশোনা করত। তবে ভলিবল খেলাতেও সে তুখোড়। জয়েন্টের আগে অবশ্য নাতি শুধুই পড়া আর পড়া নিয়েই মেতে থাকত। আরও পড়ুন: WBJEE2021 Result: জয়েন্টে শীর্ষে রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র, প্রথম তিনজনই উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের

Next Article