উত্তর ২৪ পরগনা: দিল্লিতে জরুরি তলব ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংকে। সূত্রের খবর, শনিবারই অর্জুনকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বেলা ৩টে ২০ মিনিটের বিমানে দিল্লি রওনা দিচ্ছেন এই বিজেপি সাংসদ। পাটশিল্পের রুগ্ন চেহারাকে তুলে ধরে গত কয়েকদিনে একাধিকবার জুট কমিশন ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন অর্জুন। এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যৌথভাবে আন্দোলনে নামার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি। শুক্রবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ নিয়ে চিঠিও লিখেছেন সাংসদ। এরইমধ্যে অর্জুন সিংকে দিল্লিতে তলব, দুইয়ে দুইয়ে চার দেখছেন রাজনৈতিক মহল। অর্জুন সিংয়ের বক্তব্য ছিল, “চারটে রাজ্যে মূলত পাট উৎপন্ন হয়। বাংলা, ওড়িশা, বিহার, অসম। আমি এই চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আহ্বান করছি এই লড়াইকে পাটচাষিদের স্বার্থে এগিয়ে নিয়ে চলুন। এই আন্দোলনের কারণ, বস্ত্রমন্ত্রককে বোঝাতে হবে এ ধরনের সিদ্ধান্ত পাটশিল্প ও পাটচাষিদের স্বার্থের পরিপন্থী।”
Letter to Honourable CM of West Bengal @MamataOfficial ji on the issue of price capping on Raw Jute by the Jute Commissioner of India and saving the lives of Jute farmers, Jute workers and Jute industry. @egiye_bangla pic.twitter.com/VFLJKPss7b
— Arjun Singh (@ArjunsinghWB) April 29, 2022
শনিবার বেলা ১টা নাগাদ অর্জুন সিংয়ের কাছে ফোন আসে। সূত্রের খবর, পীযূষ গোয়েলের দফতরে দেখা করতে যাওয়ার কথা তাঁর। বস্ত্রমন্ত্রকের তরফেই তাঁকে ডাকা হয়েছে। দিল্লি রওনা দেওয়ার আগে অর্জুন সিং বলেন, “জুটমিলের সমস্যা নিয়ে আমি বস্ত্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলাম। উনি আমাকে ডেকেছেন। আজকে যাচ্ছি। রাতে বৈঠক।” তবে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, অর্জুনের এই হুঙ্কার দলের অন্দরে অস্বস্তি বাড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতিকে বেশি দূর টেনে নিয়ে গেলে তা বিড়ম্বনার কারণ হতে পারে। সে কারণেই তড়িঘড়ি তলব করা হয়েছে তাঁকে। সূত্রের খবর, বেলা ৩টে ৩০র বিমানে তিনি দিল্লি যাচ্ছেন। রাত ১০টা নাগাদ বস্ত্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন তিনি।
কেন্দ্রীয় জুট কমিশন যেভাবে পাটের দাম বেঁধে দিয়েছে তাতে পাটশিল্প এবং এই শিল্পের সঙ্গে যুক্তরা বিপাকে পড়ছেন বলে সম্প্রতি বিস্ফোরক দাবি করেন অর্জুন সিং। তিনি স্পষ্ট বলে দেন, এভাবে চললে আন্দোলন জোরাল হবে। শুক্রবার বাংলা-সহ মোট পাঁচ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন ব্যারাকপুরের সাংসদ। তালিকায় রয়েছে বিহার, অসম, ত্রিপুরা, ওড়িশার নাম। চিঠিতে লেখেন, ‘কেন্দ্রীয় জুট কমিশনার পাটের দাম বেঁধে দেওয়ায় আমাদের রাজ্যের পাটশিল্প, পাট কারখানা এবং এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকরা চরম বিপাকে পড়েছেন। আমার অনুরোধ আপনি এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করুন। লক্ষ লক্ষ পাটচাষির জীবন জড়িয়ে এর সঙ্গে। বস্ত্র মন্ত্রকের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা করুন। আমি ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ। আমার এখানে প্রায় ২০টি চটকল রয়েছে। যার উপর লক্ষাধিক মানুষের পেট চলে।’
আরও পড়ুন: Fraud Case: সরকারি চাকরির নামে টাকা আত্মসাৎ, তৃণমূল বিধায়কের আপ্ত সহায়ক গ্রেফতার