উত্তর ২৪ পরগনা: সিপিএমের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল। রবিবার সন্ধ্যায় খড়দহের রহড়ায় এই ঘটনা ঘটেছে। নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে এদিন সিপিএমের তরফে প্রতিবাদ কর্মসূচি নেওয়া হয়। অভিযোগ, সেখানে শিল্পমন্ত্রী তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। আর সেই কারণে পাঁচ সিপিএম নেতাকে গ্রেফতার করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় রহড়া থানার সামনে। থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান বাম কর্মী সমর্থকরা।
শনিবারই নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। অভিযোগ ওঠে তাঁরই এক ঘনিষ্ঠ, যিনি পেশায় মডেল, তাঁর বাড়ি থেকে ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। এরপরই প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়ে দিকে দিকে রাস্তায় নামে বিরোধীরা। বাম, কংগ্রেস, বিজেপি সকলেই বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ দেখায়।
তারই অঙ্গ হিসাবে এদিন উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহের রহড়া মোড়ে সিপিএমের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কুশপুতুল দাহ করার অভিযোগে পাঁচ সিপিএম নেতা কর্মীকে গ্রেফতারও করা হয় বলে অভিযোগ। রহড়া পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বাম কর্মীরা। ধৃতদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে রহড়া থানা ঘেরাও করেন তাঁরা।
বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী এক সিপিএম নেতা সমীর মণ্ডলের কথায়, “পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা মিছিলের ডাক দিই। রহড়া বাজার অবধি যাই। মিছিল পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ ছিল। কোনওরকম কোনও সমস্যা হয়নি। কিন্তু কুশপুতুল পোড়াতে বাধা দেয় পুলিশ। তা নিয়েই ঝামেলা, গ্রেফতারি।”
এ প্রসঙ্গে রহড়া খড়দহ এরিয়া কমিটির সম্পাদক বাবন সরকার বলেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায় যেভাবে বেকার ছেলেমেয়ের স্বপ্ন লুঠ করেছেন, সাধারণের টাকা লুঠ করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে এই কর্মসূচি ছিল আমাদের রহড়া খড়দহ এরিয়া কমিটির। সবটাই শান্তিপূর্ণ ছিল। কিন্তু কুশপুতুল পোড়ানোর জন্য অগণতান্ত্রিকভাবে আমাদের ওই এলাকার পার্টি সেক্রেটারি, পার্টির আঞ্চলিক কমিটির সদস্য-সহ আরও অন্যান্য কমরেডকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এটা শনিবারও হয়েছিল।”