গাইঘাটা: কয়েকদিন আগেই তৃণমূল (Trinamool Congress) ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) গিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। তারমধ্যে আবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ভিড়েছেন রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী। এরই মধ্যে শোনা যাচ্ছিল বিজেপি বিধায়ক তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের ভাই সুব্রত ঠাকুর তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দিতে পারেন। চড়ছিল জল্পনার পারদ। এরইমধ্য়ে সেই জল্পনা নিজেই উড়িয়ে দিলেন সুব্রত। সাফ বললেন, তিনি মোদীর আদর্শে বিশ্বাসী। অসময়ে দল করেছেন। যে জল্পনা ছড়াচ্ছে তা পুরোটাই ভুয়ো।
শোনা যাচ্ছিল, সাম্প্রতিক সময়ে শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে সুব্রতর। যা নিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলেও নানা কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু, সুব্রত বলছেন, এসবের কোনও ভিত্তি নেই। শান্তনু ঠাকুর আবার বলছেন সবটাই তৃণমূলের অপপ্রচার। এ প্রসঙ্গ উঠতেই এদিন সুব্রত বলেন, বাড়িতে দুই ভাই। একজন মন্ত্রী, একজন বিধায়ক। সেই কারণে মানুষ অনেক কথা বলে। তাই দু’জনকে আলাদা করতে পারলে অনেকে সেখান থেকে ফায়দা নিতে পারবে। তাই এ সব অপপ্রচার চলছে। বিজেপিকে আমি ভালবাসি। যখন মানুষ বিজেপি করতে চাইত না। তখন থেকে আমি বিজেপিতে। কঠিন সময়ে আমি দলের সঙ্গে থেকেছি। লড়েছি। ভোটও বেড়েছে আমার এলাকায়। দল তো এখন অনেক ভাল জায়গায় আছে। আরও উপরে যাবে দল। আমি কর্মীদের পাশে আছি।
একই সঙ্গে সুব্রত আরও বলেন, দল যে দায়িত্ব দেবে তা পালন করতে তিনি প্রস্তুত। দল যদি দাদার প্রচারে যেতে বলে তাতেও তিনি যাবেন। তাঁর এ বিষয়ে কোনও সমস্যাই নেই। অন্যদিকে ভাইয়ের দলবদলের জল্পনার প্রসঙ্গ উঠতেই তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন শান্তনু ঠাকুর। ঘাসফুল শিবিরের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দেগে তিনি বলেন, এটা তৃণমূলের অপপ্রচার। ওরা ভেবেছিল মুকুটমণি অধিকারী তৃণমূলে গিয়েছে বলে সুব্রতও যাবে। আসলে এই অপপ্রচার করে ওদেরই আখেড়ে ক্ষতি হল।