কয়লা পাচার: CBI-এর হাতে লালার এক বছরের কল রেকর্ড, মিলল রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে কথোপকথনের যোগ

শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী | Edited By: সোমনাথ মিত্র

Dec 02, 2020 | 10:08 PM

লালা যে তার সাম্রাজ্য বিস্তার করতে একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত, সেই কথোপকথনের প্রমাণ মিলেছে।

কয়লা পাচার: CBI-এর হাতে লালার এক বছরের কল রেকর্ড, মিলল রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে কথোপকথনের যোগ
ফাইল ছবি।

Follow Us

সুজয় পাল: কয়লা পাচার চক্রের শিকড় পর্যন্ত পৌঁছতে আরও আটঘাঁট বেঁধে তদন্তে নামছে সিবিআই। কয়লা পাচারকাণ্ডে সেই মূল হোতা অনুপ মাঝি ওরফে লালার এক বছরের কল রেকর্ড এল সিবিআই-এর হাতে (ECL Coal Smuggling Case)। লালা যে তার সাম্রাজ্য বিস্তার করতে একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত, সেই কথোপকথনের প্রমাণ মিলেছে।

মঙ্গলবারই সিবিআইয়ের হাতে সেই কল রেকর্ড আসে। সূত্রের খবর, সিবিআই জানতে পেরেছে লালার সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের নিয়মিত কথা হত। তবে তাঁদের সঙ্গে এই সংক্রান্ত ঠিক কী কথা হত, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এক্ষেত্রে রাঘববোয়ালদের নাম খুঁজে পেতে মরিয়া কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। শুধু তাই নয়, তল্লাশি অভিযানের দিন অর্থাত্ ২৭ নভেম্বর লালা পালানোর আগে ঠিক কাদের সঙ্গে কথা বলেছিল এবং কী কথা বলেছিল, তা জানতে চায় সিবিআই। সার্ভিস প্রোভাইডারের কাছে সেদিনেরও কল রেকর্ড চেয়েছেন তদন্তকারীরা। এর ফলে তাকে পালাতে কারা সাহায্য করেছিল সেদিন, সেই তথ্য উঠে আসবে। কয়লা পাচারকাণ্ডে ইসিএলের  (ECL Coal Smuggling Case)সব আধিকারিক ও রাঘববোয়ালদের যোগসূত্র খুঁজতেই কোমর বেঁধেছে নেমেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

ঘটনার দিনই লালার আসানসোল ও শেক্সপীয়র সরণির বাড়িতে তল্লাশিতে মোট ১৫ লক্ষ নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, লালা একাধিক সম্পত্তি দ্বিগুণ দামে কিনেছে। বেনামি আর কত সম্পত্তি রয়েছে লালার, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

রবিবারই কলকাতা, সল্টলেক, আসানসোল, পুরুলিয়া ৪৫ জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। মঙ্গলবার যৌথ তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই ও ইসিএলের ভিজিলেন্স বিভাগ। পাণ্ডবেশ্বর এরিয়ার জেনারেল ম্যানেজার অমিত কুমার ধর-সহ ইস্টার্ন কোল ফিল্ডের আরও কয়েকজন আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। এফআইআর কপিতে সিবিআই উল্লেখ করেছে, অভিযুক্তরা ইসিএলের লিজ নেওয়া জায়গা থেকে কয়লা চুরি করে তা রেলের সাইডিংয়ে নিয়ে যাওয়া হত। তারপর রেলের এক শ্রেণির অফিসার সিআইএসএফের সঙ্গে মিলে তা পাচার করত।

আরও পড়ুন: কোভ্যাক্সিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দিনও রাজ্য সরকারের দুর্নীতি প্রসঙ্গে সরব রাজ্যপাল

তবে এই ঘটনায় প্রহর গুনছেন একাধিক রাজনৈতিক নেতা ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। সিবিআই-এর তদন্তে আর কাদের নাম উঠে আসে, সেটাই দেখার।

Next Article