তৃণমূলকে ‘ভালবাসার ভ্যাকসিন’ দিতে চান জিতেন, পুর প্রশাসক চাইলেন ডাক্তার

TV9 Bangla Digital | Edited By: সৈকত দাস

Aug 09, 2021 | 10:52 PM

Jitendra Tiwari: জিতেন্দ্র বলেন, "তৃণমূলকে ভয় পাবার কিছু নেই। ওরা নির্বাচনে বুথ লুঠ করতে এলে শক্ত হাতে প্রতিরোধ করুন। বুথ লুঠ করতে এলে আসবেন তো গাড়িতে কিন্তু যাবেন অ্যাম্বুল্যান্সে।"

তৃণমূলকে ভালবাসার ভ্যাকসিন দিতে চান জিতেন, পুর প্রশাসক চাইলেন ডাক্তার
ফাইল ছবি

Follow Us

আসানসোল: “নির্বাচনের দিন বুথ লুঠ করতে এলে, আসবেন নিজের গাড়িতে, ফিরবেন অ্যাম্বুল্যান্সে।” সোমবার তৃণমূলকে এভাবেই হঁশিয়ারি দিলেন আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সোমবার ভ্যাকসিন নিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলার পক্ষ থেকে আসানসোল পুরনিগমের সামনে প্রতীকী অবস্থান বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তিনি। জিতেন্দ্রের সঙ্গে ছিলেন আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল ও কুলটির বিধায়ক অজয় পোদ্দার।

অবস্থান মঞ্চের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জিতেন্দ্র বলেন, “তৃণমূলকে ভয় পাবার কিছু নেই। ওরা নির্বাচনে বুথ লুঠ করতে এলে শক্ত হাতে প্রতিরোধ করুন।” একই সাথে তৃণমূলে হুমকি দিয়ে বলেন, “বুথ লুঠ করতে এলে আসবেন তো গাড়িতে কিন্তু যাবেন অ্যাম্বুল্যান্সে।” তিনি আরও যোগ করেন, “ওরা কিভাবে ভোট করায় তা তাঁর জানা আছে। আর সেটাকে আটকে দেবার ভ্যাকসিনও জানা আছে।”

পরে তাঁর এই বক্তব্য প্রসঙ্গে তাঁকে প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক তথা অধুনা বিজেপি নেতার ব্যাখ্যা, “ওটা ভালবাসার ভ্যাকসিনের কথা বলেছি। ওদের (তৃণমূলের) গুন্ডামি ভালবাসা দিয়েই রুখে দেবে।” যদিও প্রাক্তন মেয়রের এই হুমকিকে পাত্তা দিতে রাজি হলেন না আসানসোল পুরসভার বর্তমান পুরপ্রশাসক অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়।

ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়েও বাকযুদ্ধে জড়িয়েছেন এই প্রাক্তন ও বর্তমান। জিতেনের অভিযোগ, ১৪৪ টি ওয়ার্ড নিয়ে গড়ে ওঠা কলকাতা পৌরনিগমের ভ্যাকসিন সেন্টারের সংখ্যা প্রায় ২০০। আর আসানসোল পুরনিগমের ১০৬ টি ওয়ার্ডে ভ্যাকসিন সেন্টারের সংখ্যা মাত্র সতেরো কি আঠারো। বড় বড় হোর্ডিংয়ে নেতা নেত্রীদের প্রচার চালানো হচ্ছে। কিন্তু আসানসোলের মানুষ ভ্যাকসিন পাচ্ছেন না। আসানসোলের মানুষকে ভ্যাকসিন দেবার ব্যাপারে পুরসভা উদাসীন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

জিতেন্দ্রর এই অভিযোগ উড়িয়ে পুরপ্রশাসক অমরনাথ বলেন, সীমিত পরিকাঠামো নিয়েই আসানসোল পুরসভাকে ভ্যাকসিন দেবার কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে। নাম না করে জিতেন্দ্রর উদ্দেশ্যে বলেন, “উনি যে সমস্ত লোক নিয়োগ করে গিয়েছিলেন তারা কেউ কাজের নয়। যদি ডাক্তার নিয়োগ করে যেতেন তাহলে এই পরিস্থিতি হত না।” আরও পড়ুন: ‘দাদা-দিদি বুঝি না,’ এবার পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি উসকে দিলেন তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ বংশীবদন!

Next Article