‘দাদা-দিদি বুঝি না,’ এবার পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি উসকে দিলেন তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ বংশীবদন!
Banshibadan Barman: "আদিবাসী এবং রাজবংশী তাদের অধিকার বুঝে নেবে। আমরা এবার এক হয়েছি। সংবিধান মেনেই আমাদের অধিকার দিতে হবে।''
জলপাইগুড়ি: “আমরা দাদা বুঝি না, দিদিও বুঝি না। আমাদের জনগোষ্ঠীর যে ভাল করবে, আমরা তার সঙ্গে থাকব।” ফের পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি উসকে দিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য কোচবিহার পিপলস অ্য়াসোসিয়েশনের নেতা বংশীবদন বর্মনের। বললেন, “আমাদের দাবি কোচবিহার রাজ্যের ভারত ভুক্তির চুক্তি অনুযায়ী গ্রেটার কোচবিহার রাজ্য। অসমের ৪টি জেলা নিয়ে এই রাজ্য গঠিত হবে। রাজবংশী এবং আদিবাসীদের সরলতার সুযোগ নিয়ে দেশের সব রাজনৈতিক দল নিজেদের আখের গুছিয়ে নিচ্ছে। এবার আর এটা হবে না।”
বিগত দিনেও পৃথক রাজ্যের দাবিতে গ্রেটারের আন্দোলনের জেরে উত্তপ্ত হয়েছে কোচবিহার-সহ উত্তরের একাধিক জেলা। বেশ কয়েকজন শহিদ হয়েছিলেন এই আন্দোলনের জেরে। দিনের পর দিন নিউ কোচবিহার স্টেশনে অবরোধও করে রেখেছিলেন গ্রেটার সমর্থকরা। পরে তৃণমূলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে বংশীবদনের। রাজবংশী ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কালচারাল বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদও পেয়েছেন তিনি। কিন্তু সোমবার বীরপাড়ার ৫ নম্বর শ্রমিক লাইনের ফুটবল মাঠে বিশ্ব আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে যে মন্তব্য করলেন রাজবংশী ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কালচারাল বোর্ডের চেয়ারম্যান তথা গ্রেটার কোচবিহার আন্দোলনের নেতা, তা যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
তাঁর কথায়, “উত্তরবঙ্গের মাটির মালিক আদিবাসী এবং রাজবংশী সম্প্রদায়। এই মাটির মালিক হওয়া সত্বেও আজ আমরা দিশেহারা। আমারা যোগ্য মান-সম্মান পাচ্ছি না।” তিনি আরও যোগ করেন, “আদিবাসী এবং রাজবংশী তাদের অধিকার বুঝে নেবে। আমরা এবার এক হয়েছি। সংবিধান মেনেই আমাদের অধিকার দিতে হবে।”
অন্যদিকে ওই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে আদিবাসী নেতা তথা তৃণমূল নেতা রাজেশ লাকড়া বলেন, “এবার থেকে উত্তরবঙ্গে বংশীবদন বর্মন এবং রাজেশ লাকড়া শেষ কথা বলবে।” বিশ্ব আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে রাজবংশী সম্প্রদায় এবং আদিবাসীরা একজোট হোক, এই বার্তাই দিতে চাই বলে মন্তব্য করেন রাজেশ লাকড়া ওরফে টাইগার।
তবে রাজেশ লাকড়া পরিষ্কার করে দেন, আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লার পৃথক রাজ্যের দাবিকে তিনি সমর্থন করেন না। তিনি বলেন, “জন বার্লা পঞ্চম তফশিলিতে কী আছে তাই জানেন না।” তবে তাঁরা সংবিধান মেনে স্বায়ত্ব শাসন চান। স্বায়ত্ব শাসন পেলে উত্তরবঙ্গের সব সম্প্রদায়ের মঙ্গল হবে বলে মন্তব্য টাইগারের। আরও পড়ুন: মশাল মিছিল থেকে গ্রেফতার রাজু, বললেন, ‘পুলিশ সব তৃণমূল হয়ে গিয়েছে!’