পশ্চিম বর্ধমান: পুজোর (Durga Pujo 2021) সময় অপরাধ ঠেকাতে কাজ করবে পুলিশের বিশেষ টিম ‘শক্তি’। জরুরি ফোন পেয়েই স্কুটি নিয়ে ছুটবে মহিলা পুলিশের বিশেষ টিম। আসানসোল-দুর্গাপুর-সহ পুরো জেলা জুড়েই কাজ করবে এই টিম। মহিলাদের বিশেষভাবে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য় আগেই ‘অভয়া প্রকল্প’ চালু হয়েছিল। যে প্রকল্পের মাধ্যমে কোনও সমস্যায় পড়া মহিলার একটি ফোন কল বা মেসেজেই ফোনের টাওয়ার লোকেশন চিহ্নিত করে পুলিশ সেখানে পৌঁছতে পারে। এ বার সেই ব্যবস্থা আরও মজবুত করতে চালু করা হচ্ছে ‘শক্তি’।
আসানসোল পুলিশ সূত্রে খবর, পুজোর দিনগুলিতে মহিলাদের সুরক্ষায় এই বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ কমিশনার এন সুধীর কুমার জানান, আসানসোলে ৫ জন এবং দুর্গাপুরে ৩ জন, মোট ৮ জনের এই বিশেষ মহিলা পুলিশকর্মীকে নিয়ে দলটি গঠন করা হয়েছে। প্রয়োজনে এই বিশেষ দলে পুলিশের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। বিশেষভাবে চালু করা হয়েছে একটি হেল্পলাইন নম্বর (৭৪০৭৪ ৫১০৯১) । সেই হেল্পলাইনে ফোন করলেই স্কুটি নিয়ে ছুটবেন পুলিশ কর্মীরা। পুজোর পাঁচদিন শহর জুড়ে চরকিপাক দেবে এই বিশেষ দল। তবে পুজোর পরেও সক্রিয় থাকবে ‘শক্তি’।
বুধবার রবীন্দ্রভবনের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক অরুণ প্রসাদ। ‘শক্তি’ ও ‘অভয়া’-র পাশাপাশি শহরের সর্বত্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাড়ানো হচ্ছে পুলিশ ফোর্স। প্রত্য়েক এলাকাতেই থাকবে পুলিশের টহলদারি। পুজো উদ্যোক্তাদের এদিন স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্ন নিয়োজিত কোভিড বিধি মেনেই পুজো করতে হবে। থাকছে সিসিটিভির নজরদারিও।
শুধু আসানসোলে নয়, পুজোর জন্য পুলিশের বিশেষ তত্পরতা নজর পড়েছে হুগলির চন্দননগরেও। বুধবার চুঁচুড়া রবীন্দ্র ভবনে পুলিশ কমিশনার অর্ণব ঘোষ দুর্গা পুজোর গাইড ম্যাপ প্রকাশ করেন। চুঁচুড়া, চন্দনগর ও ভদ্রেশ্বরের জন্য একটি এবং ডানকুনি শ্রীরামপুর উত্তরপাড়ার জন্য একটি পৃথক গাইড ম্যাপ প্রকাশ করেন তিনি। পুলিশ কমিশনার বলেন, পুজোর অনেক আগে থেকেই নাকা চেকিং-য়ে সাফল্য এসেছে। আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক, ভুয়ো পরিচয় নিয়ে ঘোরা ব্যক্তিদের আটক অথবা গ্রেফতার করা হয়েছে। পুজোর সময় আরও কড়াকড়ি ব্যবস্থা আনছেন তাঁরা। তাঁর কথায়, প্রি পুজো অ্যারেঞ্জমন্ট অনেক আগেই শুরু হয়েছে। পুলিশ অ্যারেঞ্জমেন্টে থাকছেন বিভিন্ন পর্যায়ের অফিসার। প্রায় আটডজন এসইপি, ২২ জন ইন্সপেক্টর থাকছেন এই টিমে। তাছাড়া থাকছেন মোট ২০০ জন অফিসার, ৪০০ জন কনস্টেবল পদমর্যাদার কর্মী।
তিনি আরও জানান, লাইভ সিসিটিভি ফিডে নজরদারির ব্যবস্থা হয়েছে। লাইভ মুভমেন্ট নোটিশ করতে সার্ভিলেন্স ক্যামেরার ব্যবহার করা হবে এবার পুজোয়। এর ফলে সন্দেহজনক কিছু দেখলেই তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। এর ফলে সম্ভাব্য অপরাধ দমন করা যাবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: ‘রবীন্দ্রনাথও আত্মহত্যা করতেন’, বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের ‘লাগামহীন নেশায়’ তোপ কেষ্টর!
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: ‘৬ লক্ষ ত্রিপল কোথায় গেল?’, মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন দিলীপের