Durga Puja 2021: প্রতিপদে এসেই চলে যান দেবী, এই মন্দিরে পর্যটন কেন্দ্র তৈরিতে উদ্যোগী বিজেপি বিধায়ক

TV9 Bangla Digital | Edited By: tista roychowdhury

Oct 07, 2021 | 12:35 AM

Asansol: হীরাপুরেরই ছোট্ট একটি গ্রাম ধেনুয়া। এই ধেনুয়া গ্রামেই রয়েছে কালীকৃষ্ণ আশ্রম। কথিত রয়েছে, স্বপ্নাদেশ পেয়েই শুরু এই পুজোর।

Durga Puja 2021: প্রতিপদে এসেই চলে যান দেবী, এই মন্দিরে পর্যটন কেন্দ্র তৈরিতে উদ্যোগী বিজেপি বিধায়ক
মন্দিরে বিধায়ক, নিজস্ব চিত্র

Follow Us

পশ্চিম বর্ধমান: মহালয়া এলেই শুরু দেবীপক্ষ। চারদিনের জন্য মর্ত্যে আসেন দেবী দুর্গা, বিশ্বাস এমনটাই। কিন্তু, এই দেবী চারদিন থাকেন না। তিনি প্রতিপদেই আসেন। এদিনেই ফিরে যান। একদিনেই পুজো হয় চারদিনের। বার্ণপুরের ধেনুয়া গ্রামের এই দুর্গাকে ঘিরে রয়েছে এমনই নানা ইতিহাস।  বুধবার, ধেনুয়া গ্রামের এই মন্দিরে আসেন আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। ধেনুয়াগ্রামের কালীকৃষ্ণ আশ্রম নামের এই মন্দিরটিকে শীঘ্রই পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করেন  বিজেপি নেত্রী (Agnimitra Paul)।

বার্ণপুরে দামোদরের পারে হীরাপুর এলাকা। সেই হীরাপুরেরই ছোট্ট একটি গ্রাম ধেনুয়া। এই ধেনুয়া গ্রামেই রয়েছে কালীকৃষ্ণ আশ্রম। কথিত রয়েছে, স্বপ্নাদেশ পেয়েই শুরু এই পুজোর। স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন তেজানন্দ ব্রহ্মচারী। আজ থেকে প্রায় ৯১ বছর আগে এই পুজো শুরু হয়। তেজানন্দের শিষ্য ছিলেন জ্যোতিন মহারাজ। তিনিও নিয়ম মেনেই পুজো করে এসেছেন। কয়েকবছর আগে তাঁর মৃত্যু হয়।

মন্দির কমিটির সম্পাদক সুবল চন্দ্র খাঁ বলেন, “আশ্রমটি প্রতিষ্ঠা করেন জ্যোতিন মহারাজ। তবে পুজো হয়ে আসছে তাঁর গুরুদেবের আমল থেকে। এখানকার দেবী দশভূজা হলেও অসুরদলনী নন। বরং কিঞ্চিত পার্বতীর মতো। তাই, তাঁর সঙ্গে থাকেন দুই সখী জয়া ও বিজয়া। ১৯৩০ সাল থেকে আনুমানিক এই পুজোর শুরু।”

মহালয়ার দিনেই অর্থাত্‍ প্রতিপদে এই মন্দিরে দেবী আসেন। তাঁর আরাধনা করা হয়। একদিনেই বাকি চারদিনের উপাচার অর্থাত্‍ ষষ্ঠী থেকে দশমীর সমস্ত আচার পালিত হয়। মনে করা হয়, যেহেতু দেবী সখীদের সঙ্গে মর্ত্যে এসেছেন তাই এ খানিক বাপের বাড়ি ঘুরে যাওয়ার মতো। অন্তত পুরাণ অনুষঙ্গ অনুসারে, দেবী পাবর্তী তাঁর সখীদের সঙ্গে একদা ভ্রমণ করতে গিয়ে নিজের বাপের বাড়িতে ঘুরে আসেন। সেই একদিনের ঘোরা থেকেই মূলত এই ধারা বিবর্তিত বলেই মনে করেন অনেকে।

পুরোহিত আশিষ ঠাকুর জানান বিভিন্ন খ্যান অর্থাত্‍ ক্ষণ ধরে পুজোর লোকাচারগুলি পালিত হয়। চাররকমের ভোগ করতে হয় একদিনেই। দশমীর পুজো শেষে ঘট বিসর্জন হয়ে গেলেও মাতৃ প্রতিমা রেখে দেওয়া হয়।

ধেনুয়া গ্রামের বাসিন্দারা একদিনের এই পুজোতে মেতে ওঠেন। তবে বাতাসে পুজো পুজো গন্ধ আসতেই শেষ হয়ে যাওয়ায় মন বিষণ্ণ হয়ে যায় সকলের। এ বার পুজো শুরু হতে আর হাতে গোনা কয়েকদিন। তার আগেই মায়ের আবাহন ও বিসর্জন হয়ে গেল এই আশ্রমে।

একদিনের এই  দুর্গাপুজোয় আসেন আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি বলেন,  “এই প্রথমবার এরকম মন্দিরে এলাম। এরকম একদিনের পুজো কোথাও দেখিনি।” এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন, “দামোদর নদীর তীরে সবুজে ঘেরা এই জায়গাটিকে যেন ট্যুরিস্ট স্পট হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া তা চেষ্টা করব। রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের কাছে এই জায়গাটিকে উন্নত করার জন্য আবেদন করব। এখানকার ইতিহাস মানুষের জানা উচিত।”

আরও পড়ুন: TMC Leader Murder Case: কুরবান শাহ হত্যা মামলায় স্থগিতাদেশ জারি সুপ্রিমকোর্টের, স্বস্তিতে পরিবার

আরও পড়ুন: Kaliachak: ফের ‘কুরুক্ষেত্র’ কালিয়াচক, আচমকা বোমা ফেটে জখম ২ শিশু!

 

Next Article