আসানসোল : আচমকা প্রবল ঝাঁকুনি বিমানে। সামলে নেওয়ার আগেই যে পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাতে বেঁচে ফিরবেন, সেটাই ভাবেননি ব্যাঙ্ক কর্মী মনীন্দ্র ভার্মা। নিজের ১২ বছরের মেয়েকে নিয়ে আসানসোলে ফিরছিলেন তিনি। রবিবার সন্ধ্যায় ঝড়ের কবলে পড়ে স্পাইস জেটের একটি বিমান। বড়সড় দুর্ঘটনা না ঘটলেও কয়েক মিনিট ধরে বিমানের মধ্যে যা হয়েছে, তাতে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। ছিঁড়ে যায় সিটবেল্ট। ঘটনায় আহতও হন অনেকে। আর সেই বিমানেই ছিলেন মনীন্দ্রবাবু। নিরাপদে বাড়ি ফিরে আসাকে মিরাকল বলেই উল্লেখ করেছেন তিনি।
বর্তমানে মুম্বইয়ের বাসিন্দা মনীন্দ্র বাবু ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষ্যে মুম্বই থেকে আসানসোলে আসছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিল তাঁর ১২ বছরের মেয়ে। তাকে সঙ্গে নিয়ে মুম্বই-দুর্গাপুর স্পাইস জেটে বিমানে উঠেছিলেন তিনি। বাড়ি ফিরে ভাগ করে নিলেন তাঁর সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা। মেয়েকে নিয়ে বেঁচে ফেরার জন্য বারবার ভগবানকে ধন্যবাদ দিয়েছেন তিনি।
বিকেল ৫ টায় তিনি ওই বিমানে চাপেন তিনি। ৭ টা ২৭ নাগাদ কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দরে বিমান অবতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু বিমানবন্দর থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে অর্থাৎ কুড়ি মিনিট আগেই ঝড়ের মুখে পড়ে যায় বিমানটি। সিট বেল্ট ছিঁড়ে যায়। প্রচণ্ড ঝাঁকুনি দিতে শুরু করে। সকলেই কম বেশী জখম হন। তিনিও তাঁর মেয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়েন। সেই দুর্ঘটনার কথা মনে পড়লে এখনও শিউরে উঠছেন তিনি। পুনর্জন্ম পেলেন বলে মনে করছেন তিনি।
মনীন্দ্রবাবু জানান, বিমানের ভিতর থেকে বাইরে দেখা যায় বিদ্যুতের ঝলকানি। বৃষ্টিও উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন তাঁরা। এরপর বিমানটি হঠাৎ করে হাজার হাজার ফিট নীচে নামতে থাকে, ততক্ষণে প্রায় দমবন্ধ হয়ে আসে তাঁদের। শেষ পর্যন্ত অনেক যাত্রী আহত হলেও নিরাপদে অবতরণ করা সম্ভব হয়। আগামিকাল, মঙ্গলবার তাঁর মুম্বইতে ফিরে যাওয়ার কথা। রাঁচি বিমানবন্দর হয়। তবে তিনি বিমানে ফিরবেন কি না, তা নিয়ে এখনও সংশয়ে রয়েছেন। বিমানযাত্রার আতঙ্ক তিনি কাটিয়ে উঠতে পারেননি এখনও।
আরও পড়ুন : Malda Blast: মালদার বিস্ফোরণে রাজ্যের রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট, পার্টি করতে হবে NIA-কেও, নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের