মহিলা স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে আসানসোলের আস্ত গ্রাম দত্তক নিল বণিকসভা! শুরু কাজ

TV9 Bangla Digital | Edited By: সৈকত দাস

Aug 11, 2021 | 10:06 PM

Village Adopt: বণিকসভা জানাচ্ছে, রাজ্যের আইন ও পূর্ত দফতরের মন্ত্রী মলয় ঘটকই তাদের কাছে আবেদন করেছিলেন। জেলার পিছিয়ে পড়া কোনও গ্রামকে দত্তক নিয়ে উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যমে তাকে একটা মডেল হিসাবে গড়ে তোলার অনুরোধ করেছিলেন মন্ত্রী।

মহিলা স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে আসানসোলের আস্ত গ্রাম দত্তক নিল বণিকসভা! শুরু কাজ
নিজস্ব চিত্র

Follow Us

আসানসোল: লক্ষ্য মহিলা স্বনির্ভরতা। তাই আসানসোলের এক আস্ত গ্রামকেই দত্তক নিয়েছিল বণিকসভা। অবশেষে শুরু হল পরিকল্পনামাফিক কাজও। আসানসোল পুরনিগমের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের তিলাবাঁধ গ্রামে উন্নয়নমূলক কাজ শুরু করল দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম বণিকসভা ফসবেকি বা ফেডারেশন অফ সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। কীভাবে চলছে সেই কাজ?

বণিকসভা থেকে গ্রামের একটি কমিউনিটি হলের সৌন্দর্যায়ণ ও আসবাবপত্র দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে। এলাকার মহিলাদের স্বনির্ভর করতে সেলাই মেশিনের একটি প্রশিক্ষণ শিবির চালু করা হচ্ছে। তার জন্য ইতিমধ্যেই দুটি সেলাই মেশিনও দেওয়া হয় মহিলাদের। এছাড়া পানীয় জলের ব্যবস্থা করা, গণ-শৌচাগার নির্মাণ, খেলার মাঠের ব্যবস্থা করা, রাস্তার পাশে আলোর ব্যবস্থা ইত্যাদির কাজ হবে। গ্রামে সুচারুভাবে সবুজায়ন এবং বিদ্যালয় ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উন্নয়নের বিষয়টিতেও নজর দেওয়া হবে।

ফসবেকির সাধারণ সম্পাদক শচীন জানান, দত্তক নেওয়া গ্রামে এদিন প্রথম উন্নয়ন মূলক কাজ শুরু করা হয়েছে। মহিলাদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে সেলাই মেশিন দেওয়া হল। তাঁদের জন্য সেলাইয়ের প্রশিক্ষণ শিবির চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। গ্রামের মানুষের সার্বিক উন্নয়নে সবরকমের কাজ করবে বণিকসভা।

শুধু তাই নয়, পরিবেশের দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। যার দায়িত্বে মূলত মহিলারা। তাছাড়া গ্রামের স্কুলের পরিকাঠামো ঠিক করা, পড়ুয়াদের বই ও পোষাক বিতরণ, স্বচ্ছতা অভিযান সবকিছুরই কাজ করা হবে। একটা গ্রামকে পুরোদস্তুর আধুনিক এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করাই তাঁদের উদ্দেশ্য, বলে জানান বণিকসভার সম্পাদক।

কীভাবে এল গ্রাম দত্তক নেওয়ার পরিকল্পনা?

বণিকসভা জানাচ্ছে, রাজ্যের আইন ও পূর্ত দফতরের মন্ত্রী মলয় ঘটকই তাদের কাছে আবেদন করেছিলেন। জেলার পিছিয়ে পড়া কোনও গ্রামকে দত্তক নিয়ে উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যমে তাকে একটা মডেল হিসাবে গড়ে তোলার অনুরোধ করেছিলেন মন্ত্রী। তার পর বর্ধমানের জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় বণিকসভা। আলোচনায় ঠিক হয় তিলাবাঁধা গ্রামকে মডেল হিসাবে গড়ে তোলা হবে।

পশ্চিম বর্ধমান জেলার পিছিয়ে পড়া গ্রামাঞ্চলের উন্নয়নে সরকারি প্রকল্পে সহায়তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এসেছিল জেলার কয়েকটি বণিক সংগঠন। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পর বেছে নেওয়া হয়েছিল আটটি ব্লকের প্রতিটি থেকে পাঁচটি করে মোট চল্লিশটি গ্রামকে। এবার এই গ্রামগুলির মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে পাঁচটি গ্রামকে বেছে নিয়ে সেখানে উন্নয়নের কাজ শুরু হতে চলেছে বলে জানা গেছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, বণিক সংঠনগুলিকে চল্লিশটি পিছিয়ে পড়া গ্রামের তালিকা দেওয়া হয়েছে। তাঁরা ইচ্ছে করলে এই তালিকার বাইরে থাকা গ্রামের জন্যও উন্নয়নের কাজ করতে পারেন।

বুধবার তিলাবাঁধ গ্রামের উন্নয়নের কাজের অনুষ্ঠানে উদ্বোধনে ছিলেন আসানসোল পুরনিগমের পুর প্রশাসক বোর্ডের সদস্য অভিজিৎ ঘটক, বণিকসভার সদস্য পবন গুটগুটিয়া ও বিনোদ গুপ্তা প্রমুখ। আরও পড়ুন: মোদী বিরোধী খিচুড়ি সরকার অনেকটা স্বপ্নের পোলাওয়ের মতো: জয়প্রকাশ 

Next Article