Digha: দিঘার জগন্নাথ মন্দির দর্শনে যাচ্ছিলেন, হঠাৎ পথেই…, চার বন্ধুর এ কী পরিণতি
Digha: ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর আসানসোলের করুণাময়ী হাউসিং কলোনী এলাকায়। শনিবার ভোরে খড়গপুরের কাছে বেলদা সংলগ্ন এলাকায় মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় আসানসোলের ওই চারজনের।

আসানসোল: ভেবেছিলেন হইহই করে সবাই মিলে যাবেন দিঘায়। দর্শন করবেন নতু হওয়া জগন্নাথ মন্দির। একই সঙ্গে ব্যাগ ভর্তি মাছ কিনে আনবেন বলেও ভেবেছিলেন। কিন্তু তার আগেই বড় ঘটনা। চোখের সামনে চলে গেল চার-চারটে প্রাণ। দিঘা যাওয়ার পথে বেলদার দুর্ঘটনায় মৃত্যু চার বন্ধুর। মৃতদের মধ্যে কেউ পেশায় ব্যবসায়ী, কেউ স্কুল শিক্ষক,কেউ আবার প্রাইভেট পাওয়ার প্লান্টের কর্মী। এই বর্ষায় দিঘায় যাওয়ার উদ্দেশ্য ছিল মাছ আনতে যাওয়া। পাশাপাশি নতুন জগন্নাথ মন্দির দর্শন করা। কিন্তু শনিবার ভোর রাতের ঘটনায় কারও আর সেখানে যাওয়া হল না।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর আসানসোলের করুণাময়ী হাউসিং কলোনী এলাকায়। শনিবার ভোরে খড়গপুরের কাছে বেলদা সংলগ্ন এলাকায় মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় আসানসোলের ওই চারজনের। জানা গিয়েছে, আসানসোলের ওই বাসিন্দারা কালো স্করপিও গাড়িতে যাচ্ছিলেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টা নাগাদ তাঁরা রওনা হয়েছিলেন আসানসোল থেকে। বেলদায় সেই গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি একটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ এতটাই তীব্র ছিল যে স্করপিও গাড়িটি সম্পূর্ণরূপে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। দুর্ঘটনায় চারজনেরই ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।
মৃতদের নাম কার্তিক লাহিড়ী, অতনু গুহ পেশায় ব্যবসায়ী। হিমাদ্রি শেখর পাত্র প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক, বিশ্বজিৎ মণ্ডল প্রাইভেট পাওয়ার প্লান্টের কর্মী। এই দুর্ঘটনার খবরে মৃত চারজনের পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে । মৃতদের পরিবারকে ইতিমধ্যে পুলিশের তরফে এই ঘটনার কথা জানানো হয়েছে। পুলিশ মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিকটবর্তী হাসপাতালে পাঠিয়েছে। মৃতদের আরও এক বন্ধু বলেন, “আমারও যাওয়ার কথা ছিল। তবে বর্ষাকাল বলে স্ত্রী বারণ করেছিল আমার।”

