Mamata Banerjee Meeting: বাংলার ‘আইডেন্টিটি’ নিয়ে চিন্তায় মমতা, বিরোধীরা মনে করাচ্ছে ‘বহিরাগত’ প্রার্থীদের কথা

Jayanta Biswas | Edited By: Soumya Saha

Jun 25, 2024 | 8:24 PM

Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, 'এরপর তো রাজ্যটার পরিচিতিই নষ্ট হয়ে যাবে। বাংলায় কথা বলারও লোক পাবেন না।' হুঁশিয়ারির সুরে বলেছেন, 'বাংলার পরিচিতি নষ্ট করে দেওয়ার চক্রান্তে যারা লিপ্ত, আমি তাদের সাবধান করে দিচ্ছি, অর্থের বিনিময়ে বাংলার পরিচিতি যেন নষ্ট না হয়।'

Mamata Banerjee Meeting: বাংলার আইডেন্টিটি নিয়ে চিন্তায় মমতা, বিরোধীরা মনে করাচ্ছে বহিরাগত প্রার্থীদের কথা
কীর্তি আজাদ ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ফাইল ছবি)
Image Credit source: Facebook

Follow Us

দুর্গাপুর: বাংলার সংস্কৃতি। বাংলার কৃষ্টি। বাংলার পরিচিতি। গতকাল থেকে এই নিয়ে বিস্তর চর্চা শুরু হয়েছে। নবান্নের বৈঠক থেকে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঙালি ভাবাবেগে যে শান দিয়েছেন, তারপর থেকে রাজ্য রাজনীতির চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে বাংলার ‘আইডেন্টিটি’। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘এরপর তো রাজ্যটার পরিচিতিই নষ্ট হয়ে যাবে। বাংলায় কথা বলারও লোক পাবেন না।’ হুঁশিয়ারির সুরে বলেছেন, ‘বাংলার পরিচিতি নষ্ট করে দেওয়ার চক্রান্তে যারা লিপ্ত, আমি তাদের সাবধান করে দিচ্ছি, অর্থের বিনিময়ে বাংলার পরিচিতি যেন নষ্ট না হয়।’

এবারের লোকসভা ভোটে তৃণমূলের টিকিটে এমন একাধিক ব্যক্তিকে প্রার্থী করা হয়েছিল, যাঁরা বাংলার বাইরে থেকে এসেছেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা রাজনীতিক কীর্তি আজাদ। বর্ধমান-দুর্গাপুর আসন থেকে তৃণমূলের টিকিটে জিতে সাংসদ হয়েছেন। এবার মুখ্যমন্ত্রীর গতকালের মন্তব্যকে হাতিয়ার করে সেই ‘অবাঙালি’ ইস্য়ুতেই সরব বিজেপি শিবির। দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণচন্দ্র ঘোড়ুইয়ের প্রশ্ন, ‘এটাতে তো বাংলার মুখ্যমন্ত্রীই উৎসাহ দিয়েছেন। তিনি বাংলার ৪২টি লোকসভার মধ্যে কাউকে খুঁজে পেলেন না, যে অবাঙালি নিয়ে আসতে হল? কীর্তি আজাদ, শত্রুঘ্ন সিনহা, ইউসুফ পাঠান… এদের কে নিয়ে এসেছেন? এখন এসব নাটক, ভনিতা করে কিছু লাভ আছে?’

প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের প্রচার পর্বেও একাধিকবার ‘বহিরাগত’ খোঁচা শুনতে হয়েছিল কীর্তি আজাদকে। তিনিও অবশ্য পাল্টা জবাব দিয়েছিলেন। নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের মানুষ হয়েও উত্তর প্রদেশের বারাণসী থেকে ভোটে লড়েন, সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। উল্টে কীর্তি আজাদের যুক্তি ছিল, তিনি বিহারের মিথিলার দ্বারভাঙার লোক। মিথিলার সঙ্গে বাংলার অনেক মিল রয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, ‘দ্বারভাঙা মানে দ্বার-বঙ্গ। মানে বাংলার দরজা।’

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপি তৃণমূলের ‘বহিরাগত’ সাংসদ নিয়ে যে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে, তা নিয়ে পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূল নেতা শান্তনু সেনও। তাঁর কথায়, “বাইরে থেকে সাংসদ আনা, আর বাংলার গরিমা নষ্ট হওয়া, দুটির মধ্যে অনেক তফাত আছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থাকেন গুজরাটে, তিনি তো নির্বাচনে লড়েন বারাণসী থেকে। তিনি তাহলে গুজরাট থেকে লড়েন না কেন? সেটা অন্য বিষয়।” শান্তনু সেনের কথায়, “বাইরে থেকে বহিরাগত হয়ে এসে, যারা বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতি জানে না, যারা বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে দেয়, যারা রবীন্দ্রনাথের জন্মস্থান জানে না, স্বামী বিবেকানন্দের নাম উচ্চারণ করতে পারে না, যারা বীরসা মুন্ডার মূর্তি চিনতে পারে না… তারা তো কখনও বাঙালির সংস্কৃতির ধারক-বাহক হতে পারে না। সেই বাংলা বিরোধী রাজনৈতিক দলকেই বাংলার মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে।”

Next Article