আসানসোল: তৃণমূল পাখির চোখ করেছে ত্রিপুরাকে। বিজেপি (BJP) শাসন সরিয়ে নিজেদের জমি তৈরি করতে তৎপর তৃণমূল (TMC)। আর এই লক্ষ্যে অনড় তৃণমূল যুবনেত্রী সায়নী ঘোষও (Sayooni Ghosh)। ত্রিপুরার রাস্তায় তিনি যেমন শক্তিশালী ঘাসফুল শিবির তৈরি করতে অনড়, তেমনই তাঁর একের পরে এক টুইট করেও বিজেপি-কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। আর এদিন আসানসোল থেকে সায়নীর আত্মবিশ্বাসী মন্তব্য, “ত্রিপুরাতে একা লড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতবেন। তবে ফ্যাসিস্ট মোদি সরকারকে হঠাতে ডান বাম সবাইকে স্বাগত।”,
রবিবার বারাবনির সভা থেকে ঘোষণা সায়নী বলেন, “রাখির দিনে শুরু করেছি জেলা সফর। খেলা হবে। ২০২৪ এ এই মাটিতেই খেলা হবে। আরও বড় খেলা হবে।” ত্রিপুরা প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, “ত্রিপুরাতে ভীষণ রকমের খেলা হবে। আর সেই খেলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাই খেলবেন ও জিতবেন। আমরাও জিতব।”
নিজে প্রথমবার বিধানসভা ভোটে লড়ে হেরে গেলেও রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে দলের বড় জয়লাভের পরে নতুন কমিটি গঠন হতেই দলের সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্য নিয়ে জেলা সফর শুরু করলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী। আর সেই সফরে প্রথমেই তিনি বেছে নিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা। যে জেলার আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে এবার প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। নির্বাচনে পরাজয় হলেও অন্য তারকাদের মতো তিনি রাজনীতিকে বিদায় জানাননি। থেকে যান সক্রিয় রাজনীতিতে। তাঁর উপর আস্থা রেখে বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছেন দলের যুব সংগঠনের সভানেত্রীর ভার।
তারপরেই দলের যুব সংগঠনের উপর জোর দেওয়াই মূল উদ্দেশ্যে সায়নীর এই জেলা সফর। তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বস্তরের কর্মীরা যাতে বুথ স্তরে আরও শক্তিশালী ভাবে সংগঠন গড়ে তুলতে পারে সেই অনুযায়ী বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে সায়নী ঘোষ এই জেলা সফর করবেন বলে জানা গিয়েছে। এদিন আসানসোলের বারাবনি বিধানসভায় প্রথম সভাটি করেন সায়নী ঘোষ। ইসিএলের এরিয়া মাঠে হওয়া সেই সভায় বক্তব্য রাখার পাশাপাশি একটি গানও করেন তিনি। সভার শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সায়নী বলেন, “নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে একটা ফ্যাসিস্ট সরকার চলছে। সেই সরকারকে হঠাতে যারা আসবে, সবাইকে স্বাগত।”
বারাবনির সভা থেকে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী সম্প্রতির বার্তা দিয়ে সকলকে নিয়ে কাজ করার বার্তা দেন। সভায় ছিলেন বারাবনির বিধায়ক তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিধান উপাধ্যায়। আরও পড়ুন: ফাটছে কপাল, চড়া রোদে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে কেউ হচ্ছেন অসুস্থ, এত দুর্ভোগের পরও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা পাবেন তো? প্রশ্ন মহিলাদের