পশ্চিম বর্ধমান: খনি এলাকায় দুষ্কৃতীদের বাড়-বাড়ন্ত কিছুতেই রোখা যাচ্ছে না। চলতি মাসে ফের খুনের ঘটনা ঘটল এলাকায়। আবার এক কয়লাখনি কর্মী খুনের ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল আসানসোলে (Asansol)। এবার রীতিমত প্রশ্নের মুখে এলাকার নিরাপত্তা।
ঘটনাস্থান জামুরিয়া। মৃত ইসিএল কর্মীর নাম স্বপন বাউরি(৫৪)। রানিগঞ্জের চাপুই খাস কোলিয়ারিতে কাজ করতেন তিনি। গতকাল রাতে জামুড়িয়ার দু’ নম্বর জাতীয় সড়কের লাগোয়া চাপুই রোডে এক মাংসের দোকানে ওই ইসিএল কর্মীকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে রানিগঞ্জ থানা ও জামুরিয়া থানার পুলিশ পৌঁছে রক্তাক্ত অবস্থায় মৃতদেহটি উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায় ।
সূত্রের খবর, ওই এলাকার বর্তমান জেলা সভাধিপতি শুভদ্রা বাউরি। তাঁর স্বামী বিশ্বনাথ বাউরি। তিনি প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন জেলা সভাধিপতি। বিশ্বনাথ বাউরির দাবি, “তিন রাউন্ড গুলি করে খুন করা হয় মদন বাবুকে। রক্তাক্ত অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার হয়। আসানসোল জেলা হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয় দেহটি।”
খুনের ঘটনার পর থেকেই নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এলাকাবাসীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ডেপুটি পুলিশ কমিশনার সেন্ট্রাল অভিষেক মোদী। তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, এদিকে কয়লাচুরি কাণ্ডে ৫৬ দিন পর লালার চার সহযোগী জয়দেব, নীরদবরণ, নারায়ণ ও গুরুপদকে শর্তসাপেক্ষে জামিনে মুক্তি দিল সিবিআই আদালত। কয়লা চোরাচালান বা পাচার মামলায় (Coal Scam Case) অনুপ মাজি ওরফে লালার চার সহযোগী জয়দেব মণ্ডল, নীরদবরন মণ্ডল, গুরুপদ মাজি ও নারায়ণ নন্দা অবশেষে জামিন পেলেন। মঙ্গলবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী শর্তসাপেক্ষে এই চারজনকে জামিনে মুক্ত দিলেন। জামিনের শর্ত অনুযায়ী, লালার এই চার সহযোগীর বিদেশ যাত্রার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পাশাপাশি পশ্চিম বর্ধমান জেলাতেও তাঁরা প্রবেশ করতে পারবে না বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Jalpaiguri: দোকানে ঢুকে চোর খেল বাউলি, ওরিও! গলা শুকিয়ে যেতে ফ্রিজ থেকে বের করল কোল্ড ড্রিংক