Cow Smuggling Case: কোন এক্তিয়ারে গরু পাচার মামলা দিল্লিতে স্থানান্তর হবে? বিচারককে বোঝাতে ‘ব্যর্থ’ ইডি

Cattle Smuggling Case: এদিন বিচারক জানতে চান, অর্থনৈতিক দুর্নীতি মানেই কি তা স্বাভাবিকভাবে ইডির হাতে চলে যায়? এটা সিবিআই কোর্ট। ইডি কোর্ট তো নয়।

Cow Smuggling Case: কোন এক্তিয়ারে গরু পাচার মামলা দিল্লিতে স্থানান্তর হবে? বিচারককে বোঝাতে 'ব্যর্থ' ইডি
গরু পাচার মামলার অন্যতম অভিযুক্ত অনুব্রতImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 02, 2023 | 11:32 PM

আসানসোল: সিবিআই আদালতে আবারও ধাক্কা খেল ইডি। দু’সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় বার। ৬ সেপ্টেম্বর, বুধবার পর্যন্ত ঝুলে রইল গরু পাচার মামলা দিল্লিতে স্থানান্তরের শুনানি। গরু পাচার মামলাকে দিল্লিতে স্থানান্তর করার যে আর্জি জানিয়েছে ইডি, এক্ষেত্রে তাদের এক্তিয়ার নিয়ে বিচারকের প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারলেন না ইডির আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র।

আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর প্রশ্নের মুখে পড়লেন ইডির আইনজীবী। এদিন বিচারক বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করেন ইডির আইনজীবীকে। বিচারক জানতে চান, সিবিআই এই মামলায় যা বাজেয়াপ্ত করেছে সেটা আর আপনারা যার ভিত্তিতে ইসিআই করেছেন সেগুলো কি এক ? জবাবে ইডির আইনজীবী বলেন, না, আমরা কেবল আর্থিক দুর্নীতির দিকটা দেখছি। বিচারক তখন জানতে চান, আইনের কোথায় লেখা আছে যে অর্থনৈতিক দুর্নীতির তদন্ত একমাত্র ইডিই করতে পারে ? বিচারকের এই প্রশ্ন শুনে ইডির আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র আর্থিক দুর্নীতির একাধিক ধারা উল্লেখ করে বিচারককে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁর যুক্তিতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি বিচারক।

বিচারক বলেন, আইন অবশ্যই আছে। না হলে সারা দেশে এত তদন্ত কী করে হচ্ছে? সাজা কী ভাবে ঘোষণা হচ্ছে? সেই আইনের তথ্যই দেখতে চাইছি। কোনও গেজেট, কোনও নোটিফিকেশন থাকলে দেখান। কিন্তু ইডির আইনজীবী এদিনও বিচারকের কাছে সদুত্তর দিতে পারেননি। ইডির আইনজীবী সঠিক যুক্তি খুঁজে পেতে সময় চেয়ে উচ্চ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ফলে শনিবার দু’দফায় ঘণ্টা দেড়েক সময় ধরে ইডির আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি হয়।

এদিন বিচারক জানতে চান, অর্থনৈতিক দুর্নীতি মানেই কি তা স্বাভাবিকভাবে ইডির হাতে চলে যায়? এটা সিবিআই কোর্ট। ইডি কোর্ট তো নয়। আপনি বোঝান কোন যুক্তিতে এই মামলা সিবিআই কোর্ট থেকে আমি দিল্লিতে হস্তান্তর করব? ইডির আইনজীবী বারবার ৪৮ ও ৪৯ আইনের কথা বললেও বিচারক স্পষ্ট বলেন, এখানে সেন্ট্রাল এজেন্সির ডিরেক্টর, ডেপুটি ডিরেক্টর বা আসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টরের কথা উল্লেখ থাকলেও ইডি অর্থাৎ এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট উল্লেখ নেই। শেষ পর্যন্ত বিচারক ইডির আইনজীবীকে আরও সময় দেন। তিনি এদিন বলেন, আগামী ৬ সেপ্টেম্বর, বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

গত ২৮ জুলাই আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে ইডির তরফে ৪৪(১/সি) নম্বর ধারায় মামলা স্থানান্তরের আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু গত ১৯ অগস্টের মতো এদিন আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে সেই আবেদনের দ্বিতীয় শুনানির দিনেও কার্যত ধাক্কা খেল ইডি।

এই গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়ে এখন দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি অনুব্রত মণ্ডল, তাঁর কন্যা, তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল। এদিনের শুনানি নিয়ে অনুব্রতর আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ বলেন, আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত থেকে মামলা দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। এদিন তার দ্বিতীয় দিনের শুনানি ছিল। ইডির আইনজীবী বিচারকের করা প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।