‘আমায় রেহাই দাও’, বউ-ছেলের ‘অত্যাচারে’ বাড়ি ছাড়লেন ৮৮ বছরের বৃদ্ধা!
Domestic Violence: নির্যাতিতা মলিনা বিশ্বাস ও তাঁর নাতনি মৌ সরকারের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই বৃদ্ধার ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে নারাজ ছেলে দিলীপ বিশ্বাস ও তাঁর স্ত্রী পুতুল বিশ্বাস।
পশ্চিম বর্ধমান: অশীতিপর মায়ের দায়িত্ব নিতে নারাজ ছেলে। ৮৮ বছরের বৃদ্ধাকে তাই মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার ‘চক্রান্ত’ চলছিল। ছেলে-বউমার ‘অত্যাচার’ (Domestic Violence) সহ্য করতে না পেরে রাতারাতি ঘর ছাড়লেন বৃদ্ধা। পাশে দাঁড়াল মানবাধিকার সংগঠনের কর্মীরা। চাঞ্চল্য়কর ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলে।
নির্যাতিতা মলিনা বিশ্বাস ও তাঁর নাতনি মৌ সরকারের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই বৃদ্ধার ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে নারাজ ছেলে দিলীপ বিশ্বাস ও তাঁর স্ত্রী পুতুল বিশ্বাস। মলিনাদেবীকে বাড়ি থেকে বের করতে মারধর, অশ্রাব্য গালিগালাজ করা লেগেই থাকত বলে অভিযোগ। এমনকী, বৃদ্ধাকে খুন করে তাঁর মেয়ে, নাতনি ও নাতজামাইকে ফাঁসানোর হুমকিও দেন দিলীপ, অভিযোগ মলিনাদেবীর। মঙ্গলবার রাতে, মলিনাদেবীকে অকথ্য মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে বুধবার সকালে মানবাধিকার সংগঠনের কর্মীদের নিয়ে দিলীপের বাড়িতে যান মলিনাদেবীর নাতনি মৌ। সেখানে, সংগঠনের কর্মীদের সামনেই মলিনাদেবীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
এদিন, আক্রান্ত মলিনা দেবী কাতর কণ্ঠে বলেন, “আমায় রেহাই দাও। আমি কিছু চাই না। আমি ছেলের বাড়িতে থাকব না। আমি একটু বাঁচতে চাই। আমার একটু ব্যবস্থা হলেই আমি খুশি। আর কিছু চাই না।” নির্যাতিতার নাতনি মৌ-এর কথায়, “দিদুকে যখন তখন মারধর করত মামা-মামী। মামীর দুই ভাইও এই কাজে যোগ দেয়। সেদিন মেরে দাঁত ভেঙে দিয়েছে। বুধবার সকালে মানবাধিকার সংগঠনের কর্মীদের সামনেও মারধর করা হয় দিদুকে। ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। পড়ে গিয়ে মাথায় চোট পেয়েছে দিদু।”
মানবাধিকার সংগঠনের কর্মী সুপ্রদীপ মুখোপাধ্যায় জানান, ওই বৃদ্ধাকে তাঁরা চোখের সামনে অত্য়াচারের শিকার হতে দেখেছেন। সেই ঘটনার ভিডিয়ো করে সোশ্য়াল মিডিয়াতেও দেওয়া হয়েছে। বুধবারই, মলিনা দেবীর ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ল ইণ্ডিয়া হিউম্যানরাইটস কাউন্সিলের সদস্যদের দাবি, বৃদ্ধার সঙ্গে তাঁরা এই লড়াইয়ে আছেন। এই অন্য়ায়ের বিরুদ্ধে আইনত শাস্তির প্রত্যাশী তাঁরা। আরও পড়ুন: ‘ঘোরতর অপরাধী ছেলে’, ক্ষমা করলেন না মা, গ্রামবাসীদের ‘শাস্তি’-তে মৃত্যু যুবকের!