Salanpur: লোহার রড দিয়ে আঘাত করে যুবককে ‘খুন’, নাট্যরূপান্তর করে পুলিশকে দেখাল তিন অভিযুক্ত

Asansol: ২৫ জুলাই থেকে রাজেশ বাউরি নিঁখোজ ছিলেন। এরপর গত ৩০ জুলাই মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল তাঁর।

Salanpur: লোহার রড দিয়ে আঘাত করে যুবককে 'খুন', নাট্যরূপান্তর করে পুলিশকে দেখাল তিন অভিযুক্ত
ঘটনার পুর্ননির্মাণ (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 06, 2022 | 10:39 PM

সালানপুর (আসানসোল): সালানপুরে এক যুবকের মৃত্যুতে ঘটনা পুনর্নির্মাণ করল পুলিশ। মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে জঙ্গলে কীভাবে রাজেশ বাউরি নামে ওই যুবকের দেহ মাটিতে পুঁতে ফেলে রাখা হয়েছিল সেই ঘটনার নাট্যরূপান্তর করে পুলিশকে দেখাল তিন অভিযুক্ত।

গত ২৫ জুলাই থেকে রাজেশ বাউরি নিঁখোজ ছিলেন। এরপর গত ৩০ জুলাই মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল তাঁর। জানা যায়, সালানপুরের জেমারি গ্রামের বাসিন্দা মৃত ওই যুবক। তাঁর স্ত্রী বন্দনা বাউরি নিঁখোজ ডায়েরি করেছিলেন। তদন্তের স্বার্থে পুলিশ মাটির ভিতর থেকে বস্তাবন্দী মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল রাজেশের। এই ঘটনায় তাঁর পরিবারের সন্দেহের কথা জেনে পুলিশ দুই মহিলা সহ এক পুরুষকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীকালে জেরার মুখে ওই তিন অভিযুক্ত অমিত বাউরি, ভাদু বাউরি এবং পদ্মাবতী সোরেন স্বীকার করে তারাই খুন করেছে রাজেশকে।

খুনের পর কাশীডাঙা জঙ্গলে গর্ত করে বস্তাবন্দী দেহ পুঁতে দিয়েছিল তদন্তে সে কথাও জানায় তারা। এরপর শনিবার সেই মতো ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল সালানপুর থানার পুলিশ। কীভাবে লোহারপাইপ দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছিল, কীভাবেই বা রাজেশের দেহ বস্তাবন্দি করে কাশীডাঙা জঙ্গলে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয় তার নাট্যরূপান্তর বা পুনর্নির্মাণ করে পুলিশকে দেখায় অভিযুক্ত অমিত, ভাদু ও পদ্মাবতী।

শনিবার সালানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অমিত হাটি পুলিশের দলবল নিয়ে রাজেশের খুনে জড়িত থাকা অমিত বাউরি, ভাদু বাউরি ও পদ্মাবতী সোরেনকে নিয়ে হত্যাকাণ্ডের পুনর্নির্মাণ করান। প্রথমে তিন অভিযুক্তকে নিয়ে যাওয়া হয় মুচিডির চেক ড্যামে। সেখানে প্রথমে উদ্ধার হয় খুনে ব্যবহৃত লোহার রড। তারপর অভিযুক্তদের নিয়ে যাওয়া হয় কাশীডাঙার জঙ্গলে। সেখানে কোন স্থানে বস্তাবন্দী করে দেহ গর্তের ভিতরে চাপা দেওয়া হয় তাও দেখায় তারা। তারপর অভিযুক্তদের নিয়ে যাওয়া হয় সালানপুরের জেমারির প্রমীলা এবং ফেমাস নার্সারির কাছে। সেখানে রাজেশ বাউরিকে কীভাবে খুন করা হয়েছিল তার পুনর্নির্মাণ করে দেখানো হয়।

রাজেশ বাউরির মোটরবাইকটি আল্লাডি মোড় সংলগ্ন পরিত্যক্ত খনিতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল তাও দেখায় অভিযুক্তরা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে অতীতে ভাদু বাউরির সঙ্গে প্রেম ঘটিত সম্পর্ক ছিল রাজেশ বাউরির। বহু বছর আগে সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসে তারা। দুজনেরই বিয়ের পর আলাদা আলাদা সংসার হয়। কিন্তু হঠাৎ করেই রাজেশের পুরানো প্রেম জেগে ওঠে মাস দশেক আগে থেকে। ভাদুর সঙ্গে ফের সম্পর্ক করতে চায় রাজেশ। কিন্তু ভাদু তাতে রাজি না হওয়ায় উত্ত্যক্ত করতে থাকে পুরাতন প্রেমিক। শেষ পর্যন্ত ভাদু নিজের দিদি পদ্মাবতী ও স্বামী অমিতকে ঘটনার কথা জানায়। তারপরই পরিকল্পনা করে রাজেশকে টোপ দিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে খুন করা হয়।