আসানসোল: পেশায় তিনি টোটো চালক (Toto Driver)। সেই টোটো চালকই এবার ১০৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বিজেপি প্রার্থী (BJP Candidate)। বিজেপি প্রার্থী তারকনাথ ধীবর ওরফে গোবিন্দ। প্রচার করছেন টোটো চালিয়ে। বৃহস্পতিবার পিছনের আসনে বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরিকে টোটোতে বসিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন গোবিন্দ। কুলটির ডিসেরগড়ের কাছে হাতিনলের বাসিন্দা তারকনাথের টোটো সাজানো হয়েছে বিজেপির ঝান্ডা ও পোস্টারে। পোস্টার দলীয় প্রতীকের পাশাপাশি রয়েছে প্রার্থীর নিজের ছবিও।
টোটোর মাথায় মাইক বাঁধা। সেখানে আবার বাজছে বিজেপিত্যাগী বাবুল সুপ্রিয়র গাওয়া গান “এই তৃণমূল আর না”। হাতিনল, রক্তা, চুনগাড়ি থেকে সাঁকতোড়িয়া হয়ে যশাইডি। মোড়ের মাথায় মাথায় টোটো দাঁড় করিয়ে নেমে পড়ছেন গোবিন্দ। করছেন ডোর টু ডোর ক্যাম্পেন। গত পাঁচ বছর এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন তৃণমূলের সাধন পাল। এবার ওয়ার্ডটি সংরক্ষিত হয়ে যাওয়ায় তিনি প্রার্থী হতে পারেননি। তৃণমূল কাউন্সিলরের ব্যর্থতাকেই বিজেপি প্রার্থী করেছেন তাঁর প্রচারের অস্ত্র।
টোটো চালক তথা বিজেপি প্রার্থী তারকনাথের দাবি, রাস্তা সংস্কার হয়নি। জল জমে থাকে। জল নিকাশির অবস্থা একেবারে ভালো নয়। হাতিনল থেকে ডিসেরগড় তিন কিলোমিটার দূরত্ব। কিন্তু রাস্তায় কোনও আলো নেই। একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে পুরো এলাকা। এই অনুন্নয়নকেই প্রচারের হাতিয়ার করছেন তিনি।
বিজেপি প্রার্থী জানান তাঁর আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভাল নয়। টোটোটিও নিজের নয়। যা রোজগার হয় সেখান থেকে মালিকের কাছে দিনে ২৫০ টাকা ভাড়া দিয়ে আসতে হয়। তার পর যা হাতে থাকে তাতে সংসার চলে টেনেটুনে। টোটো চালানোর আগে মাছ বিক্রি করতেন তিনি।
এদিকে নির্বাচনী প্রচারের ক্ষেত্রে মালিক এখন ভাড়া হাঁকিয়েছেন ৪০০ টাকা। সেই টাকা আপাতত দলই দিচ্ছে। পুরো এলাকা নিজেই টোটো চালিয়ে প্রচার করছেন এই প্রার্থী। কয়েকদিন আগে পুরপ্রচারে এসেছিলেন বিজেপির শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউরি। রাজমিস্ত্রীর স্ত্রী চন্দনাও হতদরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা বিজেপি নেত্রী। চন্দনার কথায়, “মানুষের আর্শীবাদে তিনি বিধায়ক হয়েছি, তারকনাথও মানুষের আর্শীবাদে কাউন্সিলর হবেন। মানুষকে সেবা করার সুযোগ পাবেন”।
আরও পড়ুন: Burrabazar Police: লুঠপাট, তোলাবাজি রাতের কলকাতায়! পুলিশের হাতে গ্রেফতার দুই পুলিশ কর্মীই!
আরও পড়ুন: Mausam Noor: পুরসভার ডায়েরিতে ব্রাত্য মৌসম! মালদহ তৃণমূলের অন্দরেই বিতর্ক