শনিবার (১ এপ্রিল) থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। বর্ধমানের দুর্গাপুরে দুয়ারে সরকারের শিবিরে তুমুল গোলমালের অভিযোগ উঠল। পরিষেবা না পাওয়ার অভিযোগ তুলে বিদ্যুৎ বিভাগের টেবিল উল্টে বিক্ষোভ দেখান কয়েকজন। দুর্গাপুরের কাঁকসায় এই ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, নভেম্বর মাসে আগের শিবিরে বিদ্যুৎ পরিষেবার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। এদিকে এপ্রিল হয়ে গেল, এখনও মেলেনি পরিষেবা। বিদ্যুতের লাইন না আসায় এদিন বিদ্যুৎ বিভাগের টেবিল উল্টে বিদ্যুৎ কর্মীদের ধমক দিয়ে ক্যাম্প থেকে চলে যেতেন বলেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যরা। পঞ্চায়েত সদস্য ও অঞ্চল সভাপতি ছিলেন সেখানে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাঁকসার বিদবিহার পঞ্চায়েতের কৃষ্ণপুরে উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাঁকসার মলানদিঘি ফাঁড়ির পুলিশ।
অভিযোগ, ২০২২ সালের নভেম্বরে বিদবিহারের শিবপুরের রায়ডাঙা এলাকার ২টি পরিবার বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদন করেছিল। ৫ মাস পার করেও সেই পরিষেবা না আসায় ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন সূত্রধর, অঞ্চল সভাপতি কাজল শেখকে। এসবের মধ্যে শনিবার দুয়ারে সরকার কর্মসূচি শুরু হতেই পাল্টা বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের উপর ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। উল্টে দেওয়া হয় নথিপত্র-সহ টেবিল।
অভিযোগ, এলাকার দুই দাপুটে তৃণমূল নেতা বিদবিহার পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন সূত্রধর এবং তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি কাজল শেখ হুঁশিয়ারি দেন, যতক্ষণ বিদ্যুৎ পরিষেবা মিলবে না, দুয়ারে সরকারে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের বসতে দেওয়া হবে না। অজিত বাগদী যিনি এই বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদন করেছিলেন তাঁর বক্তব্য, “৫ মাস আগে বিদবিহারে দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে বিদ্যুতের জন্য আবেদন করি। পাঁচ মাস হয়ে গেল, এখনও বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ মেলেনি। আবার আবেদন করতে বলা হয়।”
যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁদের একজন স্বপন সূত্রধর বলেন, “এলাকার লোকজন বলছেন কেন বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না। আমি নিজে গত নভেম্বরে দুয়ারে সরকারে এসে ফর্ম ফিলআপ করিয়েছিলাম। এরপর ওরা যতবার গিয়েছে বলেছে আজ হবে কাল হবে। তাই বসতে নিষেধ করেছি। বলেছি এভাবে বসে মানুষকে বিপাকে ফেলো না।”
দুয়ারের সরকার শিবিরে একাধিকবার আবেদন করলেও পরিষেবা না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনার বসনছোড়া গ্রামপঞ্চায়েতের ছত্রগঞ্জে। কারও অভিযোগ, একাধিকবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের এর জন্য আবেদন করেও মেলেনি পরিষেবা। কারও অভিযোগ, বারবার আবেদনেও মিলছে না স্বাস্থ্যসাথী কিংবা বার্ধক্য ভাতা। যদিও বিডিও, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানদের বক্তব্য, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে কোনও সমস্যা নেই।
অন্যদিকে দুয়ারে সরকারে কাজ হয় না বলে অভিযোগ তুলে সরকারি আধিকারিকদের স্কুলে আটকে রেখে দুয়ারে সরকারের শিবির বন্ধ করে দেন গ্রামবাসী। পূর্ব বর্ধমানের গলসি-১ ব্লকের শিড়রাই গ্রামপঞ্চায়েতের শিড়রাই গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। গলসি-১ ব্লকের বিডিও দেবলীনা দাস গ্রামের শিবিরে গিয়ে গ্রামবাসীদের বোঝান। তাঁদের দ্রুত সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিলে দুপুরের পর শিবিরের কাজ শুরু হয়।
শনিবার (১ এপ্রিল) থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। বর্ধমানের দুর্গাপুরে দুয়ারে সরকারের শিবিরে তুমুল গোলমালের অভিযোগ উঠল। পরিষেবা না পাওয়ার অভিযোগ তুলে বিদ্যুৎ বিভাগের টেবিল উল্টে বিক্ষোভ দেখান কয়েকজন। দুর্গাপুরের কাঁকসায় এই ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, নভেম্বর মাসে আগের শিবিরে বিদ্যুৎ পরিষেবার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। এদিকে এপ্রিল হয়ে গেল, এখনও মেলেনি পরিষেবা। বিদ্যুতের লাইন না আসায় এদিন বিদ্যুৎ বিভাগের টেবিল উল্টে বিদ্যুৎ কর্মীদের ধমক দিয়ে ক্যাম্প থেকে চলে যেতেন বলেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যরা। পঞ্চায়েত সদস্য ও অঞ্চল সভাপতি ছিলেন সেখানে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাঁকসার বিদবিহার পঞ্চায়েতের কৃষ্ণপুরে উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাঁকসার মলানদিঘি ফাঁড়ির পুলিশ।
অভিযোগ, ২০২২ সালের নভেম্বরে বিদবিহারের শিবপুরের রায়ডাঙা এলাকার ২টি পরিবার বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদন করেছিল। ৫ মাস পার করেও সেই পরিষেবা না আসায় ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন সূত্রধর, অঞ্চল সভাপতি কাজল শেখকে। এসবের মধ্যে শনিবার দুয়ারে সরকার কর্মসূচি শুরু হতেই পাল্টা বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের উপর ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। উল্টে দেওয়া হয় নথিপত্র-সহ টেবিল।
অভিযোগ, এলাকার দুই দাপুটে তৃণমূল নেতা বিদবিহার পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন সূত্রধর এবং তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি কাজল শেখ হুঁশিয়ারি দেন, যতক্ষণ বিদ্যুৎ পরিষেবা মিলবে না, দুয়ারে সরকারে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের বসতে দেওয়া হবে না। অজিত বাগদী যিনি এই বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদন করেছিলেন তাঁর বক্তব্য, “৫ মাস আগে বিদবিহারে দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে বিদ্যুতের জন্য আবেদন করি। পাঁচ মাস হয়ে গেল, এখনও বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ মেলেনি। আবার আবেদন করতে বলা হয়।”
যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁদের একজন স্বপন সূত্রধর বলেন, “এলাকার লোকজন বলছেন কেন বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না। আমি নিজে গত নভেম্বরে দুয়ারে সরকারে এসে ফর্ম ফিলআপ করিয়েছিলাম। এরপর ওরা যতবার গিয়েছে বলেছে আজ হবে কাল হবে। তাই বসতে নিষেধ করেছি। বলেছি এভাবে বসে মানুষকে বিপাকে ফেলো না।”
দুয়ারের সরকার শিবিরে একাধিকবার আবেদন করলেও পরিষেবা না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনার বসনছোড়া গ্রামপঞ্চায়েতের ছত্রগঞ্জে। কারও অভিযোগ, একাধিকবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের এর জন্য আবেদন করেও মেলেনি পরিষেবা। কারও অভিযোগ, বারবার আবেদনেও মিলছে না স্বাস্থ্যসাথী কিংবা বার্ধক্য ভাতা। যদিও বিডিও, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানদের বক্তব্য, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে কোনও সমস্যা নেই।
অন্যদিকে দুয়ারে সরকারে কাজ হয় না বলে অভিযোগ তুলে সরকারি আধিকারিকদের স্কুলে আটকে রেখে দুয়ারে সরকারের শিবির বন্ধ করে দেন গ্রামবাসী। পূর্ব বর্ধমানের গলসি-১ ব্লকের শিড়রাই গ্রামপঞ্চায়েতের শিড়রাই গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। গলসি-১ ব্লকের বিডিও দেবলীনা দাস গ্রামের শিবিরে গিয়ে গ্রামবাসীদের বোঝান। তাঁদের দ্রুত সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিলে দুপুরের পর শিবিরের কাজ শুরু হয়।