Extra Marital Affair: স্বামীর ঘরে সুখে নেই প্রেমিকা, জানতে পেরেই রক্ত চড়ল প্রেমিকের মাথায়… বউয়ের বিবাহ বহির্ভূত প্রেমেই সর্বনাশ হল যুবকের

Asansol: গত ২২ জুলাই সকালে কল্যাণ গ্রামের বাসিন্দা চিত্ত সাহাকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। তদন্তে নেমে পুলিশ মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে পুরুলিয়া জেলার সাতুড়ি থানার লেদিয়াম গ্রাম থেকে আদিত্য চারকে গ্রেফতার করে।

Extra Marital Affair: স্বামীর ঘরে সুখে নেই প্রেমিকা, জানতে পেরেই রক্ত চড়ল প্রেমিকের মাথায়... বউয়ের বিবাহ বহির্ভূত প্রেমেই সর্বনাশ হল যুবকের
চা বিক্রেতার রহস্যমৃত্যু রূপনারায়ণপুরে।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 09, 2022 | 9:05 AM

পশ্চিম বর্ধমান: আসানসোলের চা বিক্রেতার রহস্যমৃত্যুতে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। আদিত্য চার নামে এক যুবককে গ্রেফতারের পরই রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ির পুলিশ জানতে পারে, এই ঘটনার পিছনে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের যোগ রয়েছে। জানা গিয়েছে, চিত্ত সাহা নামে যে চা বিক্রেতাকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ, তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল আদিত্যর। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পুনর্নির্মাণে উঠে এসেছে একের পর এক রোমহর্ষক তথ্য। অভিযোগ, চিত্তর সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর প্রায়ই ঝামেলা হত। এদিকে প্রেমিকার এই ‘কষ্ট’ সহ্য হত না আদিত্যর। প্রেমিকাকে রেহাই দিতেই এরপর চিত্তকে খুনের ছক কষেন তিনি।

গত ২২ জুলাই সকালে কল্যাণ গ্রামের বাসিন্দা চিত্ত সাহাকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। তদন্তে নেমে পুলিশ মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে পুরুলিয়া জেলার সাতুড়ি থানার লেদিয়াম গ্রাম থেকে আদিত্য চারকে গ্রেফতার করে। ৩১ জুলাই গ্রেফতার হন তিনি। ১ অগস্ট আদালতে তোলা হয় আদিত্যকে। ১০ দিনের পুলিশি হেফাজত দেন বিচারক। এরপরই শুরু হয় জেরা। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরার মুখে একে একে সমস্ত ঘটনা স্বীকার করেন আদিত্য।

প্রথমেই জানিয়েছিলেন চিত্তের স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা। এরপর ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে গিয়ে আরও বেশ কিছু তথ্য পায় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, আদিত্য জানান, ছুরি দিয়ে চিত্তর গলা কেটে সেই ছুরি জঙ্গলের মধ্যে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। মোটরবাইকের ডিকির ভিতরে সেই ছুরি ও মোটা দড়ি নিয়ে এসেছিলেন ঘটনার দিন। কীভাবে এই ‘মিশন’ তিনি সফল করেন, সবটাই দেখান তদন্তকারীদের।

রূপনারায়নপুর থানার ওসি মনোজিৎ ধাড়া, এএসআই রঞ্জিত সরকার ও অন্য পুলিশ আধিকারিকরা আদিত্যকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে সেই হত্যাকাণ্ডের পুনর্নির্মাণ করান। ঘটনাস্থলেই ওসি জানতে চান, কেন এই ঘটনা তিনি ঘটালেন। পুলিশ সূত্রে খবর, জবাবে আদিত্য জানান, চিত্ত প্রায়ই স্ত্রীকে মারধর করতেন। এই রাগেই তিনি চিত্তকে সরিয়ে দেন।

হিন্দুস্তান কেবলস লোয়ার কেশিয়ার পিছনে ছাতিম বাগান থেকে ২২ জুলাই চা বিক্রেতা চিত্তর দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশি জেরায় আদিত্য জানান, অনেক আগে থেকেই এই পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। এই হত্যাকাণ্ডে তিনি একাই ছিলেন বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন। চিত্তর স্ত্রী চন্দনা এই বিষয়ে কিছুই জানতেন না বলেও দাবি করেন আদিত্য।