Cattle Smuggling: বন্ধ গাড়ির ভিতর থেকে সন্দেহজনক শব্দ, দরজা খুলতেই চোখ কপালে উঠল পুলিশের
Paschim Burdwan: গোরক্ষা কমিটির সদস্যরা আগে থেকেই দাঁড়িয়ে ছিল বলে জানা গিয়েছে, পুলিশও ছিল। গাড়িটি আসতেই ধরে ফেলা হয়।
পশ্চিম বর্ধমান (আসানসোল): গরু পাচার মামলা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি যখন তোলপাড়, তখন প্রকাশ্য দিবালোকে গরুবোঝাই কন্টেনার ধরা পড়ল মাইথনে। আসানসোল ধানবাদ চেকপোস্টের কাছ থেকে শুক্রবার কন্টেনার গাড়িটি আটক করা হয়। ডুবুডি চেকপোস্ট থেকে ৫০০ মিটার আগে মাইথন থানার পুলিশ ধরে ওই কন্টেনারটি আটকে দরজা খুলতেই দেখে বোঝাই করা গরু। বিহার থেকে বীরভূমের দিকে ওই কন্টেনারটি যাচ্ছিল। গাড়ির ভিতর প্রায় ৩৫টি গরু ছিল বলে অভিযোগ। গরুগুলি ধানবাদের কাতরাসে গোশালায় পাঠানো হয়। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে দু’জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
গত কয়েকদিনে একাধিকবার গরু পাচারের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আসানসোল-ধানবাদ বেল্টে। রাতেরবেলাই নয়, দিনেরবেলাও নজরদারি এড়িয়ে এই গরু যত্রতত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। কন্টেনারের ভিতরে থাকায় কারও সন্দেহ হওয়ারও সুযোগ কম। ফলে অনায়াসে ঝাড়খণ্ড থেকে বাংলায় গরুবোঝাই গাড়ি ঢুকে পড়ছে বলে অভিযোগ।
তবে গত কয়েকদিনে এভাবে গরু পাচারের চেষ্টার কারণে পুলিশও সতর্ক। চেক পয়েন্টগুলিতে চলছে বিশেষ নজরদারি। মাইথন থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক বালাজি রাজহন্স জানান, গোপনসূত্রে তাঁদের কাছে খবর আসে। এরপরই জাতীয় সড়কে আটকে দেওয়া হয় গাড়িটি। আসানসোল থেকে ৫০০ মিটার দূরত্বে ধরে ফেলা হয় গাড়িটি। কন্টেনারটি নিরশার দিক থেকে বাংলায় যাচ্ছিল।
গোরক্ষা কমিটির সদস্যরা আগে থেকেই দাঁড়িয়ে ছিল বলে জানা গিয়েছে, পুলিশও ছিল। গাড়িটি আসতেই ধরে ফেলা হয়। বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় আটক করা হয় চালক ও খালাসিকে। গাড়ির ভিতর থেকে শব্দও আসছিল। এরপরই গাড়ির গেট খুলে উদ্ধার করা হয় গরুগুলি। পরে চালক নওশাদ খান ও খালাসি আশিস কুমারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অন্যদিকে গরুগুলিকে উদ্ধারের পর পশু চিকিৎসক দ্বারা পরীক্ষা করানো হয়। এরপর গোশালার পথে রওনা দেয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। সম্প্রতি বিহারের চসা এলাকার হাটের গরু ঝাড়খণ্ড হয়ে বাংলায় ঢোকার অভিযোগ ওঠে। নিরশা থানার পুলিশ সেগুলি উদ্ধার করে।