হঠাৎই CBI দফতর থেকে এক মহিলার ফোন, ডেকে পাঠানো হল তৃণমূল বিধায়ককে
Anubrata Mondal: প্রসঙ্গত ভোট পরবর্তী অশান্তি মামলায় বৃহস্পতিবারই সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন অনুব্রত মণ্ডল।
পশ্চিম বর্ধমান: কোনও নোটিস ছাড়াই সিবিআইয়ের দফতরে তৃণমূল বিধায়ককে তলব করার অভিযোগ উঠল। বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক খোকন দাস। বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের অফিসে যান তিনি। বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন তিনি বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ফোন করেছিলেন তিনি। জয়ের আনন্দবার্তা দেওয়ার জন্যই সেই ফোন বলে দাবি খোকন দাসের। সেই ফোনের সূত্র ধরেই এদিন খোকন দাসকে টেলিফোনে সিবিআই ডাকে বলে দাবি করেছেন এই বিধায়ক।
বিধায়ক খোকন দাস বলেন, “আমাকে দুর্গাপুর থেকে সিবিআইয়ের এক মহিলা প্রতিনিধি ফোনে জানান হাজিরা দিতে হবে। কারণ জানতে চাইলে বলেন, ইলামবাজারের একটা ঘটনায় আমার মোবাইল নম্বর পাওয়া গিয়েছে। তাই ডাকা হচ্ছে। ৩ তারিখ দেখা করতে বলে। আমি বলি ২ তারিখই যাব। পরদিন আমাকে বিধানসভায় যেতে হবে। গিয়ে দেখা করলাম।”
বিধায়কের দাবি, সিবিআইকে সামনে রেখে বিজেপি শাসকদলের নেতা কর্মীদের হয়রান করার চেষ্টা করছে। খোকন দাস বলেন, “আমি থাকি বর্ধমান দক্ষিণে। আমার কেন্দ্রে কোনও সিবিআই কেসের কোনও ব্যাপারই নেই। কোথায় বীরভূমের ইলামবাজারে কী হয়েছে, তার জন্য এসব। আসলে বিজেপি সারা রাজ্যেই চক্রান্ত করে কিছু নেতার মনোবল দুর্বল করতে চাইছে। নেতাদের ফাঁসিয়ে রাজনীতির দিক থেকে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করছে। এসব করে পঞ্চায়েত ভোট, লোকসভা ভোটে হালে পানি পাওয়ার চেষ্টা করছে।” বিধায়ক খোকন দাসের পাশাপাশি বর্ধমান আদালতের এক আইনজীবীও এদিন সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন বলে জানা গিয়েছে। ভোটের ফল ঘোষণার দিন তিনিও অনুব্রত মণ্ডলকে ফোন করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত ভোট পরবর্তী অশান্তি মামলায় বৃহস্পতিবারই সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন অনুব্রত মণ্ডল। বৃহস্পতিবার বেলা ১১.৪০ মিনিট নাগাদ ঢোকেন সিজিও কমপ্লেক্সে। বেরোন বিকেল গড়িয়ে। এর আগেও ভোট পরবর্তী হিংসা-সহ একাধিক মামলায় অনুব্রতকে তলব করেছে সিবিআই। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সময় চেয়েছিলেন তিনি। ১৫ দিনের সময় চান। সেই সময় পার হওয়ার পর বৃহস্পতিবারই তাঁকে হাজির হতে বলা হয়।