Mithun Chakraborty : ‘বামেদের সঙ্গে মতাদর্শে পার্থক্য, কিন্তু তৃণমূলকে হারাতে একজোট হওয়া দরকার’, মিঠুনের মন্তব্যে শোরগোল

Mithun Chakraborty : “বামেদের সঙ্গে আমাদের মতাদর্শে পার্থক্য রয়েছে। সেটা থাক। কিন্তু তৃণমূলকে হারাতে একজোট হওয়া দরকার।” জোট প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বললেন মিঠুন।

Mithun Chakraborty : ‘বামেদের সঙ্গে মতাদর্শে পার্থক্য, কিন্তু তৃণমূলকে হারাতে একজোট হওয়া দরকার’, মিঠুনের মন্তব্যে শোরগোল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 26, 2022 | 8:08 PM

আসানসোল: যতই এগিয়ে আসছে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet Election) ততই তপ্ত হচ্ছে বাংলার রাজনৈতিক ময়দান। এদিকে শেষ পঞ্চায়েতে একাধিক জায়গায় ‘অলিখিতভাবে’ হাওয়া বাম-বিজেপি তত্ত্বের কথা তুলেছিল শাসক তৃণমূল। এবার কী ফিরছে সেই ‘চেনা’ ছবি? মহিষাদল থেকে নন্দকুমার, সমবায় সমিতির নির্বাচনের ছবি দেখে সেই তত্ত্বই আরও জোরালো হচ্ছে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটা বড় অংশ। এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করায় বিজেপি নেতা তথা বলিউডি সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) সাফ জবাব, “এরকম একটা ফোর্সকে হারাতে গেলে সবাই একসঙ্গেই আসা উচিত।”

আসনসোলে সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারে পাশে বসিয়ে মিঠুন বলেন,  “জোট হবে কিনা এটা অফিসিয়ালি এটা বলা যায় না। তৃণমূল যখন সরকারকে এসেছিল তখন সিপিএমকে হারাতে সবাই একজোট হয়েছিল। কংগ্রেস সাহায্য করেছিল। বিজেপি খুব ছোট ছিল। কিন্তু, তারপরেও পিছন থেকে সাপোর্ট করেছে। এটা অস্বীকার করে লাভ নেই। এরকম একটা ফোর্সকে হারাতে গেলে সবাই একসঙ্গেই আসা উচিত। বামেদের সঙ্গে আমাদের মতাদর্শে পার্থক্য রয়েছে। সেটা থাক। কিন্তু তৃণমূলকে হারাতে একজোট হওয়া দরকার।” মিঠুনের এ মন্তব্য নিয়েই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোরদার শোরগোল। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করেছেন এ কথার মধ্য দিয়ে আকারে ইঙ্গিতে বাম-বিজেপি জোটের তত্ত্বকে আরও জোরালো করলেন মিঠুন। 

প্রসঙ্গত,  কয়েকদিন আগে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে সমবায় সমিতির নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৬৩টি আসনে জয় ছিনিয়ে নেয় ‘রাম-বাম’ জোট। সবক’টি আসনেই জয়ী হয় পশ্চিমবঙ্গ সমবায় বাঁচাও কমিটি। এই কমিটিতে বামেদের পাশাপাশি পদ্ম শিবির একযোগে লড়াই করেছিল বলে জানা যায়। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস প্রথমে ৪৫টি আসনে মনোনয়ন জমা দিলেও পরবর্তীতে তা তুলে নেয়। নন্দকুমার মডেলে ভোট হয় মহিষাদলের সমবায়েও। তবে সেখানে ৭৫টি আসনের মধ্যে ৬৯টি আসনে জিতে নেন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। ৭টি আসনে জয়ী সিবিআই-বিজেপি বিরোধী জোটের প্রার্থীরা। 

এই বাম-বিজেপি জোটের চাপানউতরের মধ্যেই বড় সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) জেলা সিপিএম (CPIM) নেতৃত্বকে। যাঁরা এমন জোটের সঙ্গে যুক্ত, এমন দলীয় সদস্যকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএম। যা নিয়েও জোর চর্চা চলছে জেলার পাশাপাশি রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে।