মেদিনীপুর: ভবানীপুরের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। কিন্তু কোন তথ্য গোপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী? এবার সেটিই খোলসা করে বললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
মেদিনীপুরে সাংবাদিক বৈঠকে দিলীপ ঘোষ বলেন, “২০১৮ সালের পুরনো কেস মুখ্যমন্ত্রী তথ্য গোপন করেছেন। স্বাভাবিকভাবে এটা তথ্য গোপনের আইনের আওতায় পড়ে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগ জানিয়েছি।”
এরই সঙ্গে রাজ্যের বিচারব্যবস্থা নিয়ে দিলীপ বলেন, “যাঁরা যোগ্য ব্যাক্তি, তাঁরাই সরকারের সঙ্গে কাজ করতে পারছেন না। একাধিক অফিসার, বিভিন্ন কেসের ল,’ইয়ার এবং বিচারপতি তাঁরা তৃণমূলের কেসের সঙ্গে যুক্ত হতে অস্বীকার করছেন এবং চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন।” তাঁর আরও বিস্ফোরক অভিযোগ, রীতিমতো বিচারপতিদের ধমকি দেওয়া হয়। বিচার ব্যবস্থাকে লঙ্ঘিত করা হচ্ছে এবং বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের ওপর চাপ তৈরি করা হচ্ছে। যেটা বিচার ব্যবস্থার পক্ষে ভালো নয়।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি করেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। তাঁর অভিযোগ, তাঁর বিরুদ্ধে কত কেস রয়েছে, তা হলফনামায় উল্লেখ করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
হলফনামায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ করেছেন, গত আর্থিক বছরের তুলনায় এই আর্থিক বছরে তাঁর পাঁচ লক্ষ টাকা আয় বেড়েছে। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তাঁর আয় ১৫ লক্ষ ৪৭ হাজার ৮৪৫ টাকা। এখন তাঁর ব্যাঙ্কে রয়েছে ১৩ লক্ষ ১১ হাজার ৫১২ টাকা। তাঁর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১৫ লক্ষ ৩৮ হাজার ২৯ টাকা। তাঁর নামে কোনও বাড়ি, গাড়ি, চাষযোগ্য জমি এবং পৈতৃক সম্পত্তি নেই বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন মমতা। তাঁর কোনও ঋণও নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, তাঁর বিরুদ্ধে কতগুলি কেস রয়েছে, সে কথা হলফনামায় উল্লেখ করেননি মমতা।
প্রসঙ্গত, এর আগেও কমিশনের কাছে দরবার করেছিল গেরুয়া শিবির। আর তাতেও মূল ফোকাস ছিল ভবানীপুর। একুশের নির্বাচনে এপিসেন্টার ছিল নন্দীগ্রাম আর এবারের উপনির্বাচনের সব ফোকাস ভবানীপুর।
নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠু করতে মূলত চারটি বিষয়ের উপর জোর দিয়েছে বিজেপি। কমিশনের কাজে যে চিঠি বিজেপির তরফে দেওয়া হয়েছে, তাতে কয়েকটি বিষয়ে ফোকাস করা হয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর যে তিন বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট রয়েছে, সেখানে সব বুথের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ের করার দাবি জানিয়েছে বিজেপি। প্রতিটা বুথেই সিআরপিএফ-কে নিরাপত্তায় রাখতে হবে। তিন কেন্দ্রে মোট ১২০ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন প্রয়োজন। বুথ বা নির্বাচনী কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে কলকাতা বা রাজ্য পুলিশের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হোক।
আরও পড়ুন: তিন শিশুর মৃত্যুর পরও জানা গেল না কোন জ্বর! আক্রান্ত পাঁচ শতাধিক
আরও পড়ুন: মায়ের হাতে জলের বোতল, চলন্ত ট্রেনের জানলা গলে বাইরে পড়ল শিশু!