‘মাস্টার প্ল্যান না হলে ঘাটালকে বাঁচানো যাবে না’, কেন্দ্রীয় সেচমন্ত্রীর কাছে প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছেন মমতা

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Aug 10, 2021 | 1:34 PM

CM Mamata Banerjee: কেন্দ্রকে বহুবার বলেও কাজ হয়নি দাবি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্রের সেচমন্ত্রীর কাছে প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছেন তিনি।

মাস্টার প্ল্যান না হলে ঘাটালকে বাঁচানো যাবে না, কেন্দ্রীয় সেচমন্ত্রীর কাছে প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছেন মমতা
ছবি সঞ্জিত দত্ত।

Follow Us

মেদিনীপুর: আমতার পর এবার ঘাটালের জলমগ্ন এলাকাও জলে নেমেই ঘুরে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার ঘাটালের প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনে যান তিনি। তবে সেখানে গিয়েও মমতার মুখে শোনা গিয়েছে ‘পরিকল্পিত বন্যা’র অভিযোগই। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তোলেন। মাস্টার প্ল্যান না হলে ঘাটালকে বাঁচানো যাবে না বলেও জানান তিনি। কেন্দ্রকে বহুবার জানালেও কাজ হয়নি দাবি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্রের সেচমন্ত্রীর কাছে প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছেন তিনি।

এদিন ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি হেলিকপ্টারে যখন আসছিলাম ৭ কিলোমিটার জায়গা ভিডিয়ো করি। দেখলাম বাড়ি ঘর মাঠ সবটাই ভেসে গিয়েছে। প্রশাসনকে এখানে আরও অনেক কাজ করতে হবে। এখানে ক্যাম্প বাড়াতে হবে। আমি দেখে গেলাম, রিপোর্ট তৈরি করব। প্রশাসনিক বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হবে।” এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, ঘাটালের সাংসদ দেবও।

মমতার কথায়, ঘাটাল নিচু জায়গা। মাস্টার প্ল্যান ছাড়া কোনও ভাবেই ঘাটালকে রক্ষা করা সম্ভব নয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বার বার মাস্টার প্ল্যান নিয়ে বলা হচ্ছে। কেন্দ্র তাতে কিছুতেই অনুমোদন দিচ্ছে না। এদিকে জল ছেড়ে দেওয়ার ফলে পরিকল্পিত বন্যা হচ্ছে। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে আমি সৌমেন মহাপাত্র, মানস ভুঁইয়্যাকে বলব কেন্দ্রীয় সেচ মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করুন। এখন সংসদ অধিবেশন চলছে। সঙ্গে শ্রীকান্ত মাহাতো, শিউলি সাহা, জুন মালিয়া, দেবও যাক। ওরা দাবি জানাক। আমি মনে করি লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদরাও সঙ্গে যান। না হলে কিন্তু ঘাটালকে বাঁচানো যাবে না”

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২ হাজার ৮০০ কোটির প্রকল্প নিয়েছে রাজ্য সরকার। দামোদর তীরের নিচু এলাকাগুলির কাজ হবে। এছাড়াও জল ধরো জল ভরো প্রকল্পে সাড়ে ৩ লক্ষ পুকুর কাটা হয়েছে, ৫০০ কোটির চেকড্যাম তৈরি হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। চেকড্যামে জল ঢোকায় কিছুটা বিপদ কমানো গিয়েছে। তবে ঘাটালে আরও প্রচুর কাজের প্রয়োজন। সেই মতো জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা পরিষদের সভাধিপতি থেকে এলাকার বিধায়ক, সাংসদদের নির্দেশ দেন তিনি। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, ত্রাণ বণ্টনে যেন কোনওরকম দলাদলির অভিযোগ তাঁর কানে না যায়। বিপদে ভেদাভেদ ভুলে সকলের পাশে দাঁড়াতে হবে, নির্দেশ মমতার। আরও পড়ুন: যুগান্তকারী নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের, ‘অপরাধে যুক্ত’ জননেতার নথি জমা দিতে হবে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে

 

Next Article