পশ্চিম মেদিনীপুর: প্রায় এক মাস হতে চলল দাসপুর (Daspur Flood Situation) ১ নম্বর ব্লকের নিজ নাড়াজোল ও রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রাম এখনও বন্যার জলে প্লাবিত। আর দাসপুর নিজ নাড়াজোল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ভেঙেছে ১৪৭ জায়গায় নদী বাঁধ। দুশ্চিন্তায় ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা। তার উপরে আবার বৃষ্টি হলে ভাসবে গোটা এলাকা। দুশ্চিন্তায় প্রহর গুনছে প্রশাসনের আধিকারিক থেকে শুরু করে দাসপুরবাসী।
কয়েক দিনের টানা বর্ষণে ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছিল। বিভিন্ন এলাকায় নদীর বাঁধ ভেঙে জল ঢুকেছিল একাধিক গ্রামে। বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা জমা জল সব থেকে বেশি বিপদ বাড়িয়েছে দাসপুরের বাসিন্দাদের।
এই জমা জলে অধিকাংশ জায়গায় ভেঙে গিয়েছে নদীর পাড়। গুরুত্বপূর্ণ বাঁধের রাস্তাও ভেঙেছে, এটাই সব থেকে বড় সমস্যা। আর এতেই চরম সমস্যায় পড়েছে দাসপুরে বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন। এর ফলে এখন যাতায়াতের একমাত্র উপায় নৌকাই।
বিস্তীর্ণ এলাকায় কৃষিজমি জলের তলায়, রাস্তাঘাট প্রায় বুক সমান জল। আবারও যদি বৃষ্টি হয় তাহলে চরম দুর্ভোগে পড়বেন দাসপুরের বন্যা প্লাবিত এই সমস্ত এলাকার বাসিন্দারা। আবার বৃষ্টির আশঙ্কায় রাতের ঘুম উড়েছে দাসপুরবাসীর।
কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টির জেরে শিলাবতী নদীর জলে প্লাবিত হয়েছিল ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা। বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও আবার জল বাড়তে শুরু করে। চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন ঘাটালের বানভাসি এলাকার মানুষ।
গবাদি পশুদেরও খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে। জলের মধ্যে তারাও সাঁতরে যাচ্ছে অন্যত্র খাবারের সন্ধানে। আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে ডিঙি নৌকয় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাদের। পানীয় জলের চরম সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
টিউবয়েল থেকে শুরু করে ট্যাপ কল সব ডুবেছে জলে। নৌক করে প্রায় দু’কিলোমিটার দূর থেকে নিয়ে যেতে হচ্ছে পানীয় জল। বন্যার জল বাড়ায় খুবই দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন ঘাটালের বানবাসি এলাকার মানুষ।
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির জেরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলেও, জল কমতে শুরু করেছিল ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকায়। কিন্তু আবার গত দু’দিনের মুষুলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আর তাতে নতুন করে দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে ঘাটাল মহকুমার বাসিন্দাদের। ফের তৈরি হয়েছে সেই একই পরিস্থিতি। এখনও ঘাটালের মানুষদের যাতায়াতের একমাত্র উপায় নৌকো বা ডিঙি।
দুর্ভোগ-দুর্যোগ থেকে মুক্তি নেই ঘাটালবাসীর (Ghatal Flood Situation)। ডিভিসি থেকে যদি জল ছাড়ে তাহলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে বলে মনে করছে ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা। ঘাটাল পৌর এলাকার ১৭ টি ওয়ার্ডের মধ্যে অধিকাংশ ওয়ার্ডে জল জমেছিল। বাড়িঘর-রাস্তাঘাট- পানীয় জলের কল সবই ছিল জলের তলায়। সবে পরিস্থিতি ফিরতে শুরু করেছিল। শুধু ঘাটাল পৌর এলাকাই নয়, ব্লকের দশটি গ্রাম পঞ্চায়েত এখনও সেই আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে। জল কমেছিল ঘাটাল, শিলাবতি ও চন্দ্রকোনা নদীগুলিতে। কিন্তু আবার সেই স্তর বাড়ছে। চরম দুর্ভোগে ঘাটালবাসী।
আরও পড়ুন: Medinipur Food Poising: খাদ্যে বিষক্রিয়া? বিকালে টিফিনের পর অসুস্থ মহিলা ফুটবল টিমের প্রত্যেক সদস্যই