Swastha Sathi: সকাল থেকে লাইন দিয়েও উঠল না স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ছবি, শতাধিকের বিক্ষোভে অসুস্থ একাধিক!

TV9 Bangla Digital | Edited By: tista roychowdhury

Sep 27, 2021 | 1:50 AM

West Medinipur: কেউ সকাল দশটা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে, তো কেউ দুপুর থেকে। কিন্তু, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েও ছবি উঠল না বলে অভিযোগ। উপরন্তু, পাওয়ার কাট হয়ে যাওয়ায় বন্ধ করে দেওয়া হল ছবি তোলার কাজ।

Swastha Sathi: সকাল থেকে লাইন দিয়েও উঠল না স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ছবি, শতাধিকের বিক্ষোভে অসুস্থ একাধিক!
নিজস্ব চিত্র

Follow Us

পশ্চিম মেদিনীপুর: ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও হল না স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের (Swasthi Sathi Card) ছবি তোলা। চরম হয়রানির শিকার হয়ে বিক্ষোভ শতাধিকের। সেই জেরে অসুস্থ একাধিক। ঘটনাটি, চন্দ্রকোনার ২ নম্বর ব্লকের কুঁয়াপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বালা গ্রামে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও মেলেনি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Swasthi Sathi Card)।

কেউ সকাল দশটা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে, তো কেউ দুপুর থেকে। কিন্তু, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েও ছবি উঠল না বলে অভিযোগ। উপরন্তু, পাওয়ার কাট হয়ে যাওয়ায় বন্ধ করে দেওয়া হল ছবি তোলার কাজ। আর এতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন শতাধিক এলাকাবাসী। রবিবার, বালা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে কার্যত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বিক্ষোভের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে। তাঁদের চিকিত্‍সার জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।

এক গ্রামবাসীর কথায়, “মাত্র একটা মেশিনে ছবি তোলা হচ্ছে। ফলে ভিড় বাড়ছে। সময় বেশি লাগছে। এরমধ্যে লোডশেডিং। তারপরেই ওরা বলল আর নাকি ছবি তোলার কাজ হবে না। চরম অব্যবস্থা যাকে বলে। সকাল দশটা থেকে নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে এসে দাঁড়িয়ে রয়েছি। বাড়িতে ছোট বাচ্চা রয়েছে। এভাবে হয়রানির কী অর্থ!”

আরেক গ্রামবাসী অভিযোগের সুরে বলেন, “প্রায় দেড়শো-দুশোজন লাইন দিয়েছে। কিছুজনের ছবি তোলার পর বলছে আর ছবি তুলবে না! এটা কী ধরনের নিয়ম! সারাদিন আমরা দাঁড়িয়ে রয়েছি। এত ভিড় মানুষের। সবাই তাই ঘিরে ধরেছে। কিছুজন তো এই ভিড়ে অসুস্থও হয়ে পড়েছে। পুরোটাই প্রশাসনের গাফিলতি। সব দেখেও চোখ বন্ধ করে রয়েছে।”

বিধানসভা নির্বাচন আবহেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে চালু হয় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Swastha Sathi Card)। রাজ্যের সমস্ত মানুষের জন্য পাঁচ লক্ষ টাকার চিকিৎসা পরিষেবার সুবিধা-সহ এই  কার্ডের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি সমস্ত হাসপাতালেই পরিষেবা পাওয়া যাবে এমনটাই নিশ্চিত করে রাজ্য সরকার। কিন্তু, তারপরেও একাধিকবার যখন স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে পরিষেবা না পাওয়ার অভিযোগ ওঠে তখন রীতিমতো হাসপাতালগুলির উদ্দেশে কড়া নির্দেশ দেন খোদ মমতা। নির্বাচনী জনসভা থেকে স্পষ্টই জানিয়ে দেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে পরিষেবা না দিলে বাতিল হতে পারে হাসপাতালের লাইসেন্স। শুধু পরিষেবা চালু নয়, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে যাতে কোনওরকম জালিয়াতি না হয় বা কোনও ভোক্তা যেন বঞ্চিত না হন, তারজন্যেও কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

সূত্রের খবর, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে প্রায় ২০০ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগে একটি জনস্বার্থ মামলায় অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আগামিকাল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে। গোটা ঘটনায় ক্যাগ তদন্তের দাবি করেছেন আবেদনকারী অজিত কুমার প্রসাদ। তাঁর দাবি, গরমিল হয়েছে ১৮৮ কোটি টাকার।

রাজ্যের ২৩ টি জেলার একাধিক জেলায় খোঁজখবর নিয়ে অভিযোগ তোলা হয়েছে, গড়ে ১০০ জন আবেদনকারীর মধ্যে ৯০ জনই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পাননি। যারা কার্ড পেয়েছেন তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ আবার পরিষেবা পাচ্ছেন না। আবেদনকারীর দাবি, প্রত্যেক মাসে যে বিপুল সংখ্যক চিকিৎসা হচ্ছে তার মধ্যে রোগীর সংখ্যা ও তাঁদের পিছনে কত খরচ হচ্ছে তার ভুল হিসেব দেওয়া হচ্ছে। সেই কারণেই গোটা বিষয়টি নিয়ে ক্যাগের তদন্ত দাবি করা হয়।

আরও পড়ুন: Unknown Fever: অজানা জ্বরের বলি ২৫ দিনের শিশু, সেপ্টিসেমিয়ায় মৃত আরও ১!

Next Article