তৃণমূল নেত্রীর সামনেই দলীয় পতাকা উত্তোলনের সময়ে ‘শুভেন্দু অধিকারী জিন্দাবাদ’ স্লোগান… ভাইরাল ভিডিয়ো
Paschim Medinipur: এই নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে রাজনৈতিক মহলে। এটা কি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নাকি কেবলই ভুল!
চন্দ্রকোণা ভগবন্তপুরের একটি রক্তদান শিবিরে যোগ দেন সুজাতা। সেখান থেকে ফেরার পথে চন্দ্রকোণার এক নম্বর ব্লকের ইন্দা গ্রামে একটি দলীয় কার্যালয়ে তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলতে দেখতে পাওয়া যায়।
ঘটনাক্রমটি এমন ছিল, পতাকা উত্তোলন করছিলেন সুজাতা। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর আশেপাশে ছিলেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। পতাকা উত্তোলিত হয়ে যায়, ফুল ঝরে পড়ে। সে সময় পাশে থাকা কর্মীরা হঠ্ করে বলে ওঠেন ‘শুভেন্দু অধিকারী জিন্দাবাদ’। সুজাতা বিচলিত হননি। দু’এবার সেই স্লোগান দেওয়ার পরই হুঁশ ফেরে তৃণমূল কর্মীদের।
সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা বলতে থাকেন ‘তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ’। তখন পরিস্থিতি সামলাতে হাল ধরেন সুজাতাও। তিনি স্লোগান দিতে থাকেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ, মা-মাটি-মানুষ জিন্দাবাদ।’ কর্মীরাও স্লোগান দেন ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ।’
কিন্তু ততক্ষণে আগের অংশটি ভাইরাল। তৃণমূলের রক্তদান শিবিরে শুভেন্দু অধিকারীর নামে স্লোগান পড়ার অংশটুকু ভাইরাল হয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। সুজাতার নিজেও ফেসবুক পেজে বিষয়টি লাইভ হচ্ছিল। সেখান থেকেও এই ভিডিয়োটি প্রচুর শেয়ার হতে থাকে।
এই নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে রাজনৈতিক মহলে। এটা কি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নাকি কেবলই ভুল! মেদিনীপুরে ব্যক্তি বিশেষে শুভেন্দু অধিকারীর ভিত শক্ত বলেই মনে করতেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সেক্ষেত্রে এই ধরনের ঘটনার পিছনে অন্য গন্ধ পাচ্ছেন তাঁরা।
সব থেকে উল্লেখ্যযোগ্য, পুরো ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন তৃণমূলেরই স্থানীয় এক কর্মী। শাসকদল গোটা ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। তবে ইতিমধ্যেই নেট দুনিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল এই ভিডিয়ো। ভিডিয়ো দেখেই নেটিজেনদের মধ্যে হাসির রোল।
এপ্রসঙ্গে, স্থানীয় বিজেপি নেতা শিবরাম দাস বলেছেন, “সব দিকেই তো বিজেপির হাওয়া। বিজেপি ঝড় বইছে। তৃণমূল নেতৃত্ব তা ভুলতে পারেনি। মুখে থেকে সেই বেরিয়েই গিয়েছে।”
প্রসঙ্গত, দিন তিনেক আগেই বিশ্ব আদিবাসী দিবসের প্রাক্কালে মেদিনীপুর ঘুরে এসেছেন শুভেন্দু। পশ্চিম মেদিনীপুরে আরও একটি অনুষ্ঠানে আদিবাসী দিবসে উপস্থিত হন তিনি। স্থানীয় একটি ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছিল অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে আদিবাসী ১০ টি গাঁওতার হাতে তুলে দেওয়া হয় ধামসা, মাদল। এদিনের অনুষ্ঠানে শুভেন্দু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য বিজেপি নেতারা। অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে শাসকদলের একাধিক সমালোচনা করেন তিনি। আরও পড়ুন: পাহাড়-নীতিতে নয়া রঙ! ‘কাছাকাছি’ বিনয়-বিমল, নেপথ্যে কি শাসক শিবির?