খড়গপুর: স্কুল থেকে অ্যাডমিট কার্ড না মেলায় মাথায় হাত পড়েছিল। অবশেষে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্মরণাপন্ন হয়ে মিলল স্বস্তি। ফোন করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সমাধান হল সমস্যার। গত বৃহস্পতিবার স্কুল থেকে অ্যাডমিট কার্ড না পরীক্ষা নিয়েই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। খড়গপুরের ১ নম্বর ব্লকের জয়গোপালপুরের বাসিন্দা সোনালী মিদ্যা। গজেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে সে।
গ্রামের কিছু মানুষের পরামর্শ নিয়ে সোনালির বাবা ওই ঘটনার পরের দিন অর্থাৎ শুক্রবার সকালে যোগাযোগ করেন, “এক ডাকে অভিষেকে” এবং সাহায্যের আবেদন জানান। আর ফোন করতেই মুশকিল আসান! অ্যাডমিট কার্ড হাতে পায় সোনালি। চিন্তার অবসান হয় খড়গপুরের মিদ্যা পরিবারের।
সূত্রের খবর, গত শুক্রবার “এক ডাকে অভিষেকে” সমস্যাটি নথিভুক্তি করার পর তৎক্ষণাৎ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস থেকে শিক্ষা দফতরকে বিষয়টি জানানো হয়। এরপর সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতর থেকে সে দিন বিকেলই মিদ্যা পরিবারকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, প্রয়োজনীয় নথিপত্র নিয়ে শনিবার বিকাশ ভবনে যেতে হবে তাঁদের। বাবা খোকন মিদ্যাকে নিয়ে বিকাশ ভবনে যান সোনালি এবং সেখান থেকে অ্যাডমিট কার্ড সংগ্রহ করেন।
সোনালি জানিয়েছে, শারীরিক অসুস্থতার কারণে ফর্ম ফিল আপ করে উঠতে পারেনি সে, আর সেই কারণেই অ্যাডমিট কার্ড পায়নি। এবার সেই কার্ড পাওয়ার পর সোনালি ধন্যবাদ জানিয়েছে তৃণমূল সাংসদ অভিষেককে। সোনালির বাবা বলেন, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার মেয়েকে অ্যাডমিট কার্ড পেতে সহযোগিতা করার জন্য। পাশাপাশি তাঁর এক ডাকে অভিষেক কর্মসূচির জন্যও শুভেচ্ছা জানাই। আগামিদিনে এই কর্মসূচি যাতে আরও মানুষের সহায়তা করতে পারে সেই আশা রাখি।
উল্লেখ্য, এর আগে এভাবেই অ্যাডমিট কার্ড হাতে পেয়েছিল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সোনামুখীর বাসিন্দা ময়না মণ্ডল। প্রথমে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকসভা এলাকা ডায়মন্ড হারবারে এই কর্মসূচি চালু করা হয়। সেই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছিল, ‘এক ডাকে অভিষেক’৷ পরে অন্যান্য জেলাতেও এই কর্মসূচি চালু করা হয়েছে।