ICDS: খিচুড়িতে সেদ্ধ টিকটিকি, বাচ্চাদের সঙ্গে চেটেপুটে খেলেন বাড়ির বড়রাও! অতঃপর…
Medinipur: এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, লোড়পুর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে অন্যান্য দিনের মতো আজ খিচুড়ি রান্না হয়েছিল। সেই খিচুড়ি টিফিন বাক্সে বন্ধ করে বাড়িতে নিয়ে যায় অনেকে। খাবার সময় এক অভিভাবক দেখতে পান সিদ্ধ হওয়া বড় একটি টিকটিকি। ছড়িয়ে পড়ে তীব্র আতঙ্ক।
পশ্চিম মেদিনীপুর: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খিচুড়িতে টিকটিকি। আর সেই খিচুড়ি খেয়ে অসুস্থ একাধিক। সেই খিচুড়ি খেয়েছিলেন বাড়ির বড়রাও। শিশু থেকে শুরু করে পরিবারের বড় সদস্যরাও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ইতিমধ্যে ক্ষীরপাই হাসপাতালে, চিকিৎসাধীন ৩০ জন। ঘটনাস্থলে বিডিও থেকে শুরু করে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা ১ নম্বর ব্লকের মাংরুল গ্রাম পঞ্চায়েতের লোড়পুর এলাকায়।প
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, লোড়পুর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে অন্যান্য দিনের মতো আজ খিচুড়ি রান্না হয়েছিল। সেই খিচুড়ি টিফিন বাক্সে বন্ধ করে বাড়িতে নিয়ে যায় অনেকে। খাবার সময় এক অভিভাবক দেখতে পান সিদ্ধ হওয়া বড় একটি টিকটিকি। ছড়িয়ে পড়ে তীব্র আতঙ্ক।
সেই খিচুড়ি খেয়ে নিয়েছিলেন অনেক অভিভাবক ও শিশু। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই বমি করতেও শুরু করেছিলেন বলে অভিযোগ। বিষয়টি জানাজানি হতেই দ্রুততার সঙ্গে তাঁদের ক্ষীরপাই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছন চন্দ্রকোণা ১ নম্বর ব্লকের বিডিও কৃষ্ণেন্দু বিশ্বাস। এছাড়াও হাসপাতালে উপস্থিত হয়েছে রামজীবনপুর ফাঁড়ির আইসি রাজকুমার দাস, ক্ষীরপাই ফাঁড়ির আইসি গোবর্ধন সাহু। প্রশাসনিক আধিকারিকরা সমস্ত রোগী ও তাঁর পরিজনদের সঙ্গে কথা বলেন। যদিও এ বিষয়ে ক্ষীরপাই হাসপাতালের বি এম ও এইচ নিরঞ্জন কুতি বলেন, “বেশ কয়েকজন বমি করেছে প্রত্যেককেই নজর দাড়ির মধ্যে রাখা হয়েছে।”
যদিও এ বিষয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সহায়িকা পূর্ণিমা মন্ডলের দাবি, “প্রত্যেকেই টিফিন বাক্সে বন্ধ করে খিচুড়ি নিয়ে গিয়েছিল বাড়িতে। বাড়িতেও টিকটিকি পড়তে পারে।”