Murder in Kolkata: সম্পর্কের টানাপোড়েন! শেষে খুন! শহরে একের পর ঘটনায় ভিলেন সোশ্য়াল মিডিয়া?

Murder in Kolkata: প্রেমিকের বাড়ি দমদমের মধুগড়ে। আর প্রেমিকা সাত-আট কিলোমিটার দূরের কেষ্টপুরে। সূত্রের খবর, বছর আঠাশের কৌশিক জানতেন যে তাঁর থেকে এক বছরের ছোট প্রেমিকা বিবাহিত। তাঁর বিবাহিত জীবন সাত বছরের এবং এক সন্তানের মা অভিষিক্তা।

Murder in Kolkata: সম্পর্কের টানাপোড়েন! শেষে খুন! শহরে একের পর ঘটনায় ভিলেন সোশ্য়াল মিডিয়া?
প্রতীকী ছবি Image Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 15, 2024 | 5:33 PM

কলকাতা: খুন, একের পর এক খুন! গত কয়েকদিনে শহরের নানা প্রান্তে উদ্ধার হয়েছে দেহ। আর সিংহভাগ ক্ষেত্রেই সম্পর্কের টানাপড়েন। গল্ফগ্রিন বিচ্ছিন্ন কিছু নয়, কলকাতা লাগোয়া কেষ্টপুরেও তো রক্তাক্ত প্রেম! স্বামী বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন। স্ত্রী বিউটিশিয়ান। স্বামী-স্ত্রীকে দুজনকেই রোজ কাজের জন্য বেরোতে হওয়ায় সন্তান থাকে ঠাকুরদা-ঠাকুমার কাছে। সেই সুখী গৃহকোণে আচমকাই প্রবেশ তৃতীয় ব্যক্তির। খুব অল্প সময়ের মধ্যে গভীর সম্পর্ক তৈরি হওয়া এবং খুন হয়ে গেলেন মহিলা! পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, খুব বেশি নয় মাস চার-পাঁচেক আগে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কৌশিক সাহার সঙ্গে আলাপ হয় অভিষিক্তা দের। আলাপ দ্রুত গড়ায় প্রেমে। আর তারপর! অভিযোগ, প্রেমিকাকে পরিবার থেকে বেরিয়ে আসার জন্য জোরাজুরি করে কৌশিক।

রাজি না হওয়ায় একেবারে বাড়িতে গিয়ে চড়াও। সেটা প্ল্যানমাফিক। অভিষিক্তার স্বামী সাধারণত সকাল সকালে বেরিয়ে যান কাজে। সেই সুযোগ বুঝে কেষ্টপুরের বাড়িতে ঢুকে প্রেমিকাকে শ্বাসরোধ করে খুন! মাস কয়েকের যোগাযোগে কি এমন হল যে প্রেমিকাকে দুনিয়া থেকে দূরে সরিয়ে দিতে হাত কাঁপল না প্রেমিকের! সূত্র বলছে, আর পাঁচদিনের মতো শুক্রবার অফিসে পৌঁছে অভিষিক্তাকে একবার ফোন করেন তাঁর স্বামী বুদ্ধদেব। কিন্তু ফোন বেজে যায়। স্বামী ভেবেছিলেন স্ত্রী হয়তো ব্যস্ত, পরে রিং ব্যাক করবেন। কিন্তু ফোন তো আসেই না। সাতপাঁচ ভেবে কিছুক্ষণ পরে আবার অভিষিক্তাকে ফোন করেন বুদ্ধদেব। এবারও সেই একই উত্তর। তারপরও আরও কয়েকবার। স্ত্রীর  ফোন নাগাড়ে বেজে যাওয়ায় সন্দেহ তীব্র হয় স্বামীর। মাথায় অনেক চিন্তা নিয়ে কাজ তাড়াতাড়ি সেরে বাড়ি ফিরে আসেন বুদ্ধদেব। এসে দেখেন বাড়িতে তালা মারা। চাবি খুলে ঘরে গিয়ে দেখেন অভিষিক্তা অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে রয়েছেন! 

প্রেমিকের বাড়ি দমদমের মধুগড়ে। আর প্রেমিকা সাত-আট কিলোমিটার দূরের কেষ্টপুরে। সূত্রের খবর, বছর আঠাশের কৌশিক জানতেন যে তাঁর থেকে এক বছরের ছোট প্রেমিকা বিবাহিত। তাঁর বিবাহিত জীবন সাত বছরের এবং এক সন্তানের মা অভিষিক্তা। তবু সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়,প্রেমিকাকে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল কৌশিক। শুরুতে সাড়া পেলেও, পরে প্রেমিকার থেকে বাধা পেয়েও থামতে চায়নি। নাকি জোর করে বিয়েও করেছিল অভিষিক্তাকে। একদিন কালীঘাট মন্দিরে নিয়ে গিয়ে মাথায় সিঁদুর পরিয়ে সম্পর্কের মান্যতা দিতে চেয়েছিলেন।  

এই খবরটিও পড়ুন

মহিলার শ্বশুরবাড়ি শোভাবাজারে। কিছু দিন আগে শোভাবাজারের বাড়ি ছেড়ে কেষ্টপুরে ভাড়া নিয়েছিলেন। আর নতুন ঠিকানায় নতুন উপদ্রব। বুদ্ধদেব-অভিষিক্তার দাম্পত্য জীবনে কখনও কোনও অস্বাভাবিক কিছু দেখেননি তাঁদের পরিচিতরা। তবে শুক্রবার রাতে যখন বিষয়টি তাঁরা জানতে পারেন কেউ বিশ্বাস করতে পারেননি! সোশ্যাল মিডিয়ায় কযেক দিনের আলাপেই যে সর্বনাশ হয়ে যাবে তা কেউই টের পাননি। অথচ সোশ্য়াল মিডিয়াই শেষ পর্যন্ত হল কাল! তা নিয়েই চিন্তা বাড়ছে সমাজবিদদের মনে। অনেকেই বলছেন, নতুন কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়নোর আগে, বা কথা বলার আগে সব দিকে ভেবে নিয়েই তবেই পা ফেলা উচিৎ। কারণ জল হাতের বাইরে বেরিয়ে গেলে ততদিনে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে থাকার সম্ভাবনা থাকে!