খড়গপুর: একের পর এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় বারবার বিতর্কের মুখে পড়তে হচ্ছে খড়গপুর আইআইটি কর্তৃপক্ষকে। গত বছর ছাত্রের পচা-গলা দেহ উদ্ধারের পর এবার উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ। ফের আইআইটি কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলল মৃতের পরিবার। প্রজেক্ট নিয়ে চাপ দিচ্ছিলেন অধ্যাপক, এমনই অভিযোগ তুলেছে কিরণ চন্দ্র নামে মৃত পড়ুয়ার বাবা। বুধবার সকালে হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার হয় তেলঙ্গানার বাসিন্দা ওই ছাত্রের দেহ। পুলিশ খবর দেওয়ার পর বুধবারই খড়গপুরে এসে পৌঁছন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
পড়ুয়ার মৃত্যুর কারণ নিয়ে প্রাথমিকভাবে ধোঁয়াশা থাকলেও আত্মহত্যা বলেই দাবি করছে কিরণের পরিবার। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তাঁর বাবা জানান, গত মাসেই বাড়ি গিয়েছিলেন কিরণ চন্দ্র। সেখানে তাঁর একটি অস্ত্রোপচারও হয়। কিন্তু প্রজেক্টের চাপ থাকায় তাঁকে দ্রুত ফিরে আসতে হয় হস্টেলে। অধ্যাপক ওই ছাত্রকে ধমক দিয়েছিলেন বলেও দাবি বাবার। মৃত্যুর আগেও মায়ের সঙ্গে ওই ছাত্রের কথা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তাঁর বাবা। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, এতবড় একটি প্রতিষ্ঠানের কোনও অধ্যাপক সামনে আসছেন না কেন?
পড়ুয়ার আর এক আত্মীয় দাবি করেছেন, এই ঘটনার জন্য পুরোপুরি দায়ী আইআইটি কর্তৃপক্ষ। তিনিও জানিয়েছেন, প্রজেক্টের কাজ নিয়ে মানসিক চাপ বেড়ে যাওয়াতেই আত্মঘাতী হয়েছেন কিরণ। তবে লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে রাজি নন তাঁরা।
উল্লেখ্য, গত বছর এক ছাত্রের পচা-গলা দেহ উদ্ধার হয়েছিল আইআইটি খড়গপুর থেকে। সেই ঘটনায় মামলা গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। এরপর গত জুন মাসে এই প্রতিষ্ঠানেও মৃত্যু হয় কেরলের বাসিন্দা এক পড়ুয়ার। আর এবার তেলঙ্গানার ছাত্রের মৃত্যুতেও কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করছে পরিবার।