পশ্চিম মেদিনীপুর: প্রেমের পথে ‘বাধা’ মা। সেই কারণে প্রেমিকের কথা অনুযায়ী ঠান্ডা পানীয়র সঙ্গে বিষ মিশিয়ে মাকে খাইয়ে খুনের অভিযোগ উঠল নিজেরই মেয়ের বিরুদ্ধে। প্রেমিকের সঙ্গে যোগসাজশ করে মেয়ে এই কাজ করেছে বলে পুলিশের কাছে জানিয়েছেন নাবালিকা মেয়েটির বাবা। গোটা ঘটনায় কিশোরী, তার প্রেমিক ও খুনে মদত দেওয়ার অভিযোগে প্রেমিকের বাবা-মা-কেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পশ্চিম মেদিনীপুরের পাটনাবাজার এলাকার ঘটনা। মৃত মহিলার নাম অনিতা দত্ত। তাঁর স্বামী অংশুজিৎ দত্তের অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার হয় মেয়ে ও তার প্রেমিক সহ দু’জন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ১০৯, ১২০বি, ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। শুক্রবার ধৃতদের তোলা হয় মেদিনীপুর আদালতে। অন্যদিকে নাবালিকাকে জুভেনাইল কোর্টে তোলা হয়। নাবালিকার প্রেমিককে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।
নববর্ষের দিন অর্থাৎ ইংরেজি তারিখ অনুযায়ী ১৫ এপ্রিলের ঘটনা। বছর আটচল্লিশের ওই মহিলাকে যে ‘খুন’ করা হয়েছে সে কথা প্রথমে বুঝতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ সূত্রে খবর, অনিতা দেবীদের একটি দোকান রয়েছে। জানা গিয়েছে, সেখানেই অনিতা দেবীকে ঠান্ডা পানীয় খাইয়েছিল তার মেয়ে। এরপরেই অসুস্থ হয়ে যান অনিতা দেবী। দোকানেই মৃত্যু হয় তার। স্ট্রোক হয়ে মারা গিয়েছে বলে স্থানীয় চিকিৎসক ঘোষণার পরে দাহ করে দেওয়া হয়।
কী ভাবে জানা গেল গোটা ঘটনা?
ঘটনা পরিষ্কার হয় শুক্রবার দুপুরে। ওই নাবালিকা ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে মায়ের মৃত্যুর পরও নিজের প্রেমিকের সঙ্গে চ্যাট করতে থাকে। সেই চ্যাটই দেখে নেয় কিশোরীর পরিবারের কোনও এক সদস্য। এরপর চ্যাট দেখেই পরিবারের লোকেরা জানতে পারেন প্রেমিকের সঙ্গে যোগসাজশ করে ঠান্ডা পানীয়তে মিশিয়ে খাইয়ে ছিল তার মেয়ে। পুলিশের কাছেও এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে নাবালিকা সহ তিনজনকে। তবে তদন্তের গভীরে গিয়ে গোটা রহস্য উন্মোচন করতে সমস্ত পদক্ষেপ করা হবে বলেই জানাচ্ছেন জেলা পুলিশের আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: Commit Suicide: শেষ করে দিচ্ছি নিজেকে, বলেই মোবাইল সুইচড অফ প্রেমিকের; কঠিন ‘শাস্তি’ পেল প্রেমিকা