ঘাটাল: লোকালয়েই বসত চোলাই মদের ঠেক। বারবার প্রতিবাদ করেও কোনও সুরাহা হয়নি। সম্প্রতি মদ খেয়ে মৃত্যুও হয় একজনের। তারপরেই ক্ষোভ চরমে ওঠে এলাকার বাসিন্দাদের। শেষে ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী লাঠিসোটা দিয়ে গুঁড়িয়ে দিল চোলাই মদের ঠেক। এ ঘটনা ঘটল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল (Ghatal) পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কোন্নগর এলাকায়।
সূত্রের খবর, ঘাটাল গভর্নমেন্ট পলিটেকনিক কলেজর সামনেই একটা টিনের চালার মধ্যে বসত এই চোলাই মদের ঠেক। সেই টিনের চালাই এদিন ভেঙে গুঁড়িয়ে দিলেন এলাকার বাসিন্দারা। যার পুরভাগে ছিলেন মূলত মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে এখানে রমরমিয়ে চোলাই মদ বিক্রি হত। এখানে আসা লোকজন এলাকার বাসিন্দাদের উত্যক্তও করত। নষ্ট হত এলাকার পরিবেশ। পথ চলতি মানুষজন তার প্রতিবাদ করলে উল্টে তাঁদের ধমক দিত মদ্যপরা। যার কারণে ওই রাস্তা দিয়ে কেউ চলাচল করতে পারতেন না বলে অভিযোগ।
এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুরে কোন্নগর ফেরি এলাকার বাসিন্দা পরেশ বর দোলই ( ৫৪) ওই চোলাইয়ের ঠেকে মদ্যপান করে জলে পড়ে যান। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। এ ঘটনার পরেই এলাকার বাসিন্দাদের ক্ষোভ চরমে ওঠে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভেঙে গুড়িয়ে দেয় চোলাইয়ের ঠেক। একইসঙ্গে আশেপাশে এলাকাতেও যেখানে বেআইনি চোলাই মদের কারবার রয়েছে সেগুলিও বন্ধের দাবি তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা।
ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা বিভাস মণ্ডল বলেন, “এখানে চোলাই মদ বিক্রি হত। প্রায় বছর বছর দুয়েক ধরে ঠেক বসত। বারবার বলার পরেও এখান থেকে ওই ঠেক তোলা হয়নি। এই চোলাই মদ খেয়ে জলে পড়ে গিয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ পাড়ার সবাই একজোট হয়ে ভেঙে দেওয়া হয়।” আর এক স্থানীয় বাসিন্দা সুষমা মহন্ত বলেন, “ভাল-মন্দ লোক এসে দিন রাত এখানে ড্রিকংস করে। আমাদের এখানের অনেক লোকও করে। উৎসব হোক বা না হোক দিনরাত মদ খাওয়া চলছে। অনেকবার বলেও এই ঠেক তোলা যায়নি। তাই আজ আমরা সবাই একজোট হয়ে এই ঠেক তুলে দিচ্ছি।”