মেদিনীপুর: পঞ্চায়েত ভোটের আগে পাড়ায় পাড়ায় জনসংযোগে জোর দিতে চাইছে রাজ্যের শাসক শিবির। বিশেষ করে সাগরদিঘি উপনির্বাচনে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে হারের পর পঞ্চায়েত ভোটে নিজেদের ঘর গোছাতে জনসংযোগে কোনও ফাঁক রাখতে চাইছেন না তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই সুরই রবিবার ধরা পড়ল রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক মানস ভুঁইয়ার গলায়। সভা থেকে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়েছেন তিনি। এলাকায় জনসংযোগ না বাড়ালে এবার স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধেই সাংগঠনিক স্তরে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। দলের স্থানীয় নেতাদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, “আমি বড় নেতা! বাড়িতে বসে আছি। ব্লকে যাচ্ছি না। মহল্লায় যাচ্ছি না। এটা হবে না!” মানসের এই বক্তব্যকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপি। সাগরদিঘির হার তৃণমূলের ভিত নাড়িয়ে দিয়েছে বলে কটাক্ষ পদ্মশিবিরের।
রবিবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর বিদ্যাসাগর হলে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের একটি সভায় যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দলের নেতাদেরকেই কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন মানস। দলের নেতাদের বিরুদ্ধে তিনি বলেছেন, “আমি বড় নেতা! বাড়িতে বসে আছি। ব্লকে যাচ্ছি না। মহল্লায় যাচ্ছি না। এটা হবে না!” পাশাপাশি দলের ফ্লেক্স ব্যানারে নিজেদের ছবি কম ব্যবহার করে দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি বেশি ব্যবহারের নির্দেশও স্থানীয় নেতৃত্বকে দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে বলেছেন, “বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস এক হয়েছে। পাড়ায় পাড়ায় নজর রাখুন। মানুষের কাছে যান। সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরুন। প্রতিটি এলাকায় কমিটি বানাতে হবে।”
মন্ত্রীর এমন মন্তব্য ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই জেলায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। মন্ত্রীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবির। এ বিষয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিজেপি সহ সভাপতি অরূপ দাস বলেছেন, “সাগরদিঘি উপনির্বাচনে হারের জ্বালা ভুলতে পারছে না তৃণমূল। একটা সাগরদিঘির হার তৃণমূলের ভিত নড়িয়ে দিয়েছে। মন্ত্রী মানুষ ভুঁইয়ার কথাতে যা পরিষ্কার।” সব মিলিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মন্ত্রীর এই দাওয়াই কতটা কাজে আসে সেটাই এখন দেখার।