মেদিনীপুর: মেডিক্যালে ছাত্র ভর্তিতে বেনিয়মের অভিযোগ মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। তার মধ্যেই ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র দেখিয়ে ডাক্তারিতে ভর্তির অভিযোগ উঠল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। যদিও ধরা পড়ে যান তিনি। মেডিক্যাল কাউন্সিলে তা ধরা পড়ায় ছাত্রীকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করল মেদনীপুর মেডিক্যাল কলেজ।
ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র দিয়ে ডাক্তারিতে ভর্তির অভিযোগে এক ছাত্রীর ভর্তি প্রক্রিয়া বাতিল করল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। স্বর্ণা মণ্ডল নামের প্রথম বছরই ছাত্রীকে ইতিমধ্যেই কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল মৌসুমী নন্দী । পাশাপাশি শাস্তি স্বরূপ এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি ।
প্রসঙ্গত, মেডিক্যাল নিতে ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র দেখে কিছু ছাত্রছাত্রী সংরক্ষিত কোটায় সরকারি মেডিক্যাল কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন বলেই অভিযোগ উঠেছিল। আর সেই অভিযোগ ভিত্তিতে কোর্টে মামলা দায়ের হয়। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রেজলাতেই সেই মামলা চলেছিল এরকম ২৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। সেই ২৭ জনের মধ্যেই ছিলেন এই শরণ্যা মণ্ডল।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপ্যাল জানান, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়েছিলেন এই ছাত্রী । কোর্টের ওর্ডারেও পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্দেশে তদন্ত হয় এবং তাতে জালিয়াতি ধরা পড়ে। আর তারপরেই কোর্টের নির্দেশেই ওই ছাত্রীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি এক লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে । যা আগামী ১৪ দিনের মধ্যে তাকে মিটিয়ে দিতে হবে।
যদিও ওই ছাত্রীর বাবা বিশ্বজিৎ মণ্ডল ফোনেই জানিয়েছেন, সমস্যা হয়েছিল মিটে গিয়েছে, ছাত্রী ফের ভর্তি হতে পারবে। ঠিকানার গোলমালের কারণেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি।