Medinipur: ‘পেরেকে বিদ্ধ করা হচ্ছে…’, ভয়ঙ্কর অভিযোগ জমা পড়ল নির্বাচন কমিশনে

Medinipur: নির্বাচনের আদর্শ আচরণ বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ভোট প্রচারে গাছে গাছে পেরেক পোঁতার ঘটনা সর্বত্রই কম বেশি লক্ষ্যণীয়। সমাজিক অনুষ্ঠানে যাঁদের মুখে মূল মন্ত্র হিসেবে শোনা যায়,  'একটি গাছ একটি প্রাণ' বা 'গাছ লাগান প্রাণ বাঁচান' তাঁদের কর্মীরাই এখন গাছের দেহে পেরেক পুঁততে ব্যস্ত, দিকে দিকে এই ছবি।

Medinipur: 'পেরেকে বিদ্ধ করা হচ্ছে...', ভয়ঙ্কর অভিযোগ জমা পড়ল নির্বাচন কমিশনে
গাছে বিঁধছে পিন!Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 05, 2024 | 9:18 AM

মেদিনীপুর:  লোকসভা নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের প্রচারে পেরেক দিয়ে বিদ্ধ করা হচ্ছে গাছকে। সেই গাছ বাঁচাতে এবার নির্বাচন কমিশনে আবেদন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের। ভোটের বাজারে গাছে গাছে পেরেক পুঁতে রাজনৈতিক দলের পতাকা ফেস্টুনে ছয়লাপ। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল দাসপুরের সর্বত্র এমন ছবি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এবার গাছে পেরেক মেরে বন্ধ করতে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাল মুক্তমনা মানবতাবাদী সংগঠন। ভোটের বাজারে গাছে গাছে পেরেক পুঁতে রাজনৈতিক দলের পতাকা ফেস্টুনে ছয়লাপ করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।

নির্বাচনের আদর্শ আচরণ বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ভোট প্রচারে গাছে গাছে পেরেক পোঁতার ঘটনা সর্বত্রই কম বেশি লক্ষ্যণীয়। সমাজিক অনুষ্ঠানে যাঁদের মুখে মূল মন্ত্র হিসেবে শোনা যায়,  ‘একটি গাছ একটি প্রাণ’ বা ‘গাছ লাগান প্রাণ বাঁচান’ তাঁদের কর্মীরাই এখন গাছের দেহে পেরেক পুঁততে ব্যস্ত, দিকে দিকে এই ছবি।

এ বিষয়ে থেমে থাকেনি ‘দ্য ফ্রি থিংকিং হিউম্যানিস্টস সংগঠনে’র ঘাটাল শাখা। নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ইমেলে তাঁরা অভিযোগ জানিয়েছেন, ভোট প্রচারের নামে গাছে গাছে পেরেক পোঁতা বন্ধ হোক। এই ধরণের কাজে পরিবেশের বড় ক্ষতি হচ্ছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশন-সহ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে এক ই-মেল করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ই-মেল করা হয় ঘাটালের মহকুমা শাসকের অফিসেও। সংগঠনের ঘাটাল শাখার পক্ষ থেকে এই ইমেল করা হয়। এ বিষয়ে ‘দ্য ফ্রি থিংকিং .হিউম্যানিস্টস’ ঘাটাল শাখার সম্পাদক দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এ বিষয়ে আমরা আগেও সরব হয়েছিলাম, ভোট এলেই এই ধরণের ঘটনা বেশি দেখা যায়। গাছে গাছে পেরেক পুঁতে কোনও দলের পতাকা বা হোর্ডিং লাগানো বা কোনো ব্যবসায়িক বিজ্ঞাপণ দেওয়ার নামে পেরেক পুঁতে প্ল্যাকার্ড লাগানোকে কখনই সমর্থন করি না।”

এই ঘটনা নিন্দনীয়, এমনই আবেদন করেছেন অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও । আর সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতারা সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।

তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দিলীপ মাঝি বলেন, “এটা সত্যিই বন্ধ হওয়া উচিত। আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। তাতে আমাদেরই ক্ষতি। সেই দিকটা তো আমাদেরই ভাবতে হবে।”