Medinipur: সন্ধ্যা হলেই বসে যায় মদের আসর, উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র এখন আতঙ্কের আরেক নাম
Medinipur: তবে এই বিষয়ে ওই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিএমওএইচ শহীদুল আলম স্বীকার করে নেন। তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন, হাসপাতাল চত্বরে পর্যাপ্ত লাইট নেই এবং পিছনের দিকে পাঁচিল না থাকায় অবাধে যে কেউ হাসপাতাল চত্বরে প্রবেশ করতে পারে।
মেদিনীপুর: বিদ্যাসাগরের গ্রামের হাসপাতালের বেহাল অবস্থা, হাসপাতালে নেই প্রাচীর,নেই পর্যাপ্ত আলো, সন্ধ্যা হলেই অন্ধকারে ডুবছে হাসপাতাল চত্বর, বসছে নেশার ঠেক। আতঙ্কে রোগীর পরিজন থেকে নার্স ও ডাক্তাররা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল মহকুমার বীরসিংহ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে সন্ধ্যা হলেই অন্ধকারে ডুবছে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পেছনের দিক, আর তাতেই চলছে অবাধি নেশার ঠেক।
রোগীর প্রয়োজনদের অভিযোগ, হাসপাতালের পেছনের দিকের রাস্তা সন্ধ্যার পর ডুবে থাকে অন্ধকারে তাই ওই রাস্তা দিয়ে আসতে সাহস পান না তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ পিছনের দিকে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কোয়ার্টারগুলো বর্তমানে ভগ্নপ্রায়, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বন জঙ্গল হয়ে পড়ে রয়েছে। আর তাতেই চলছে নেশাগ্রস্তদের আনাগোনা।
তবে এই বিষয়ে ওই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিএমওএইচ শহীদুল আলম স্বীকার করে নেন। তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন, হাসপাতাল চত্বরে পর্যাপ্ত লাইট নেই এবং পিছনের দিকে পাঁচিল না থাকায় অবাধে যে কেউ হাসপাতাল চত্বরে প্রবেশ করতে পারে। হাসপাতালের পিছনে যে নেশার ঠেক বসে, তাও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।
তবে ওই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এক কর্মী শম্ভুনাথ মণ্ডল বলেন , উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পেছনের দিকে লাইট লাগানো হলে দুদিন যেতে না যেতেই খুলে দেওয়া হয়। তার কারণেই আর নতুন করে লাগানো যাচ্ছে না লাইট। তবে সত্যিই সন্ধ্যা নামলেই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পেছনের দিকের ছবিটা ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। সকাল হলেই দেখা যায় এদিক ওদিক পড়ে রয়েছে মদের বোতল। তাই সন্ধ্যা হলেই নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন রোগীর আত্মীয় থেকে হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সরা।”