পশ্চিম মেদিনীপুর: আবাস যোজনা নিয়ে কেশপুরে ফের কোন্দল প্রকাশ্যে। অঞ্চল সভাপতির অনুগামী না হওয়ায় নাম বাদ পড়েছে আবাস যোজনার ফাইনাল লিস্ট থেকে, অভিযোগ তুলে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ শাসকদলেরই একাংশের। অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি কেশপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতির। চরম অস্বস্তিতে শাসক শিবির। আবাস যোজনার দুর্নীতি নিয়ে বারবার ক্ষোভের ছবি সামনে এসেছে। এবার সেই ক্ষোভের মাঝেই প্রকাশ্যে চলে এসেছে গোষ্ঠী কোন্দলের ছবি। ফের বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে কেশপুর।
কেশপুরের ১৪ নম্বর অঞ্চলের ঝেঁতলা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ শাসকদলেরই একাংশের। তাঁদের দাবি যোগ্য উপভোক্তা হওয়া সত্ত্বেও বর্তমান অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি অনুগামী না হওয়ায় আবাস যোজনার ফাইনাল তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে তাঁদের নাম। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হতে হচ্ছে তাঁদের, দাবি বিক্ষোভকারীদের। এই তালিকা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবিও জানাচ্ছেন তাঁরা। এক গ্রামবাসীর কথা, “আমার নামও ছিল। কিন্তু বিভিন্ন ইস্যু দিয়ে নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এরকম একাধিক জনের সঙ্গে হয়েছে। আবার দেখা যাচ্ছে, যাঁদের ঘর হয়ে গিয়েছে, তাঁদের নাম রয়েছে তালিকায়।”
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে অঞ্চল সভাপতি বদলকে ঘিরে কেশপুরের একাধিক বার কোন্দলের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। মাস কয়েক আগে সভাপতি বদল হয়েছে কেশপুরের ১৪ নম্বর অঞ্চলেও। করুনা সিন্ধু দণ্ডপাঠের থেকে দায়িত্ব পেয়েছেন ভাস্কর চৌধুরী।
এবার আবাস যোজনার দুর্নীতি নিয়ে অঞ্চলের বর্তমান নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব পূর্বতন অঞ্চল সভাপতির অনুগামীরা।
যদিও শীর্ষ নেতৃত্ব প্রতিক্রিয়া দেবে বলে বিষয়টি এড়িয়েছেন বর্তমান অঞ্চল সভাপতি ভাস্কর চৌধুরী। অন্যদিকে সম্পূর্ণ অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন কেশপুরের ব্লক তৃণমূল সভাপতি প্রদ্যুৎ পাঁজা। সবমিলিয়ে আবাস দুর্নীতিতেও কোন্দল কাটায় চরম অস্বস্তিতে ফেলেছে কেশপুরের শাসক শিবির কে। তিনি বলেন, “আবাস যোজনার তালিকা সম্পর্কে আমাদের ধারণা নেই। এব্যাপারে গোষ্ঠীকোন্দল আমাদের অঞ্চলে নেই। কিছুটা বিষয় বিডিও অফিস ও বাকি বিষয় ব্লক সভাপতির কাছ থেকে জানতে পারবেন।”
ব্লক সভাপতি প্রদ্যুৎ পাঁজা বলেন, “সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সার্ভে হয়েছে। বার বার ডিএম, প্রশাসনিক কর্তাদের তত্ত্বাবধানে সার্ভে হয়েছে। যোগ্যদের নাম তালিকায় রয়েছে। তারপরও যদি কারোর নাম বাদ পড়ে থাকে, তাহলে সেগুলো প্রশাসনিক কর্তাদের তরফে খতিয়ে দেখা হবে। “