মেদিনীপুর: চলতি মাসে খড়গপুর শহরের একটিও স্কুলে দেওয়া হল না মিড ডে মিল। কেন বন্ধ রইল পড়ুয়াদের প্রাপ্য খাবার? সে প্রশ্নের যুক্তিযুক্ত জবাব দিতে পারেননি পুরসভার প্রশাসক। এদিকে মিড ডে মিলের সামগ্রী না পেয়ে বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা যোগাযোগ করেন পুরসভার সঙ্গে। সেখান থেকে জানানো হয়, জিনিস না এলে তা দেওয়া হবে কী করে! স্বভাবতই কেন এভাবে মিড ডে মিল বন্ধ হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর শহরে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক মিলিয়ে ২০০-র বেশি স্কুল রয়েছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল প্রতিটি স্কুলে ৩ থেকে ৬ জানুয়ারি মিড ডে মিল দেওয়া হবে। অভিযোগ, সরকারি সেই নির্দেশিকা প্রযোজ্য হয়নি খড়গপুরে। নির্দিষ্ট সময়সীমার প্রায় ১৫ দিন পার করে গেলেও এখনও মিড ডে মিলের কোনও খবর নেই স্কুলগুলিতে। তবে এর আগে সময়মতোই এই মিল স্কুলগুলি থেকে দেওয়া হয়েছে বলেই জানিয়েছেন অভিভাবকরা। এ মাসেই অন্যথা।
সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত খড়গপুরের ডেভেলপমেন্ট গার্লস সাউথ সাইড স্কুল। সেই স্কুলেই পড়ে রীতা প্রতিহারের মেয়ে। তিনি জানান, মেয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। এ মাসে মিডডে মিল পায়নি। স্কুলকে জিজ্ঞাসা করায় বলা হয়েছে, যখন আসবে তখনই দেওয়া হবে। রীতা প্রতিহারের কথায়, “এখনও পর্যন্ত মিড ডে মিল পায়নি মেয়ে। স্কুলে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। জানিয়েছে স্কুলও কিছু জানে না। যখন আসবে, তখনই দেওয়া হবে। প্রতি মাসেই দেওয়া হয়। এ মাসে এখনও দেওয়া হয়নি।”
খড়গপুর সাউথ সাইড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সুধাপদ বসু বলেন, “প্রতি মাসের মতো এ মাসেও মিড ডে মিল দেওয়ার নির্দিষ্ট দিন ঘোষণা করা হয়। ২৮ ডিসেম্বর পুরসভার তরফে বলা হয়েছিল ৩, ৪, ৫ ও ৬ জানুয়ারি মিড ডে মিল দেওয়া হবে। স্বাভাবিকভাবেই এই অর্ডার পাওয়ার পর পুরসভায় যোগাযোগ করি। তবে ওরা জানিয়েছে কোনও সামগ্রী এখনও এসে পৌঁছয়নি। এলে জানিয়ে দেওয়া হবে। ফলে যতক্ষণ না আমাদের হাতে সামগ্রী এসে পৌঁছচ্ছে আমরা তো বিতরণ করতে পারব না। সরকার সামগ্রী দেয়, সেটা নির্দিষ্টি দিনে পুরসভা থেকে দেওয়া হয়। আমি যতটুকু শুনেছি জেলার অন্যান্য জায়গায় মিড ডে মিল দেওয়া হয়েছে। এখানে এখনও কেন দেওয়া হল না, কী সমস্যা হল বুঝতে পারছি না।” খড়গপুর পুরসভার প্রশাসক প্রদীপ সরকার বলেন, “জেলাতে কিছু সমস্যা হওয়ার কারণে আসতে দেরি হচ্ছে। আজকালের মধ্যে চাল এসে যাবে। আমরা দু’ একদিনের মধ্যেই স্কুলে পৌঁছে দেব। এই বিলম্ব হওয়ার কারণে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।”
আরও পড়ুন: Fire: সাত সকালে দাউ দাউ করে জ্বলছে বহুতল, এখনও অবধি মৃত ২