AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Ghatal Bridge: দুর্ঘটনাতেও হুঁশ ফেরে না প্রশাসনের, গ্যাঁটের কড়ি দিয়ে সাঁকো তৈরি শুরু করলেন গ্রামবাসীরাই

Ghatal Bridge: চাঁদা তুলে যাতায়াতের জন্য শিলাবতী নদীর ওপর গ্রামবাসীরা তৈরি করতে শুরু করলেন বাঁশের সাঁকো।

Ghatal Bridge: দুর্ঘটনাতেও হুঁশ ফেরে না প্রশাসনের, গ্যাঁটের কড়ি দিয়ে সাঁকো তৈরি শুরু করলেন গ্রামবাসীরাই
| Edited By: | Updated on: Nov 05, 2022 | 12:41 PM
Share

ঘাটাল: নদীর ওপর দিয়েই যাতায়াত করতে হয় প্রতিদিন। দুর্ঘটনা ঘটেছে বহু বার। গ্রামের লোকজনের সাইকেল, বাইক তলিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই, তাই এবার আস্থা হারিয়ে গ্রামবাসীরা নিজেরাই চাঁদা তুলে যাতায়াতের জন্য শিলাবতী নদীর ওপর বাঁশের সাঁকো তৈরির কাজ শুরু করলেন। ইতিমধ্যে এ নিয় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা, তৃণমূলকে বিঁধতে ছাড়েনি বিজেপি। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের ভগবন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খুড়শি এলাকায় ওই সেতু তৈরি করা হচ্ছে।

জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে বর্ষায় শিলাবতী নদীর জল বাড়ার ফলে ভেঙে গিয়েছিল চন্দ্রকোনার একাধিক বাঁশের ও কাঠের সাঁকো। সেই সাঁকো ভাঙার ফলে নৌকায় যাতায়াত করেন এলাকার মানুষজন। গ্রাম পঞ্চায়েত বা ব্লক প্রশাসন সাঁকো মেরামতের কোনও উদ্যোগ না নেওয়ায়, খুড়শি এলাকার বাসিন্দারা যাতায়াতের জন্য নিজেরাই চাঁদা তুলে বাঁশ কিনে বাঁশের সাঁকো তৈরি করার কাজ শুরু করেছেন।

শিলাবতী নদীর ওপর ওই সাঁকো দিয়েই যাতায়াত করেন চন্দ্রকোনা এক ও দুই নম্বর ব্লকের একাধিক গ্রামের মানুষজন। নৌকোয় যাতায়াতের ক্ষেত্রে মাঝেমধ্যেই ঘটে দুর্ঘটনা। গ্রামের এক বাসিন্দা জানান, নিজেরা খরচ করে সাঁকো তৈরি করছেন। রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এই বৎসর থেকে সাঁকো দিয়ে যাতায়াতকারী ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।

ইতিমধ্যে সাঁকো তৈরি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। চন্দ্রকোনা উত্তর মন্ডলের বিজেপি সভাপতি সুকান্ত দোলই বলেন, ‘বাম আমল থেকে শুরু করে তৃণমূল, কখনই উদ্যোগ নেওয়া হয়নি সাঁকো তৈরি করার। খুড়শি এলাকার মানুষজন প্রত্যেক বছর নিজেদের উদ্যোগে তৈরি করে সাঁকে, সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে হয় প্রচুর মানুষকে। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক দলকে যোগ্য জবাব দেবে এলাকার মানুষজন।’

এ বিষয়ে ভগবন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ইসমাইল খাঁন বলেন, গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে আমরা সাঁকো তৈরির বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবে। তিনি জানান, পঞ্চায়েতের তরফে কিছু সাহায্যও করা হবে।