Paschim Medinipur: মীমাংসার নামে মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে, নেতা বলছেন ‘রাজনৈতিক চক্রান্ত’

Paschim Medinipur: ঘটনার জেরে এর আগে থানায় এফআইআর করা হলে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু কাউন্সিলর ও অপর এক ব্যক্তি গ্রেফতার হয়নি।

Paschim Medinipur: মীমাংসার নামে মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে, নেতা বলছেন 'রাজনৈতিক চক্রান্ত'
(প্রতীকী ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 04, 2022 | 4:59 PM

খড়গপুর: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ। আর সেই অভিযোগের মীমাংসা করাতে গিয়ে এক মহিলাকে গণধর্ষণের (Crime against women)  অভিযোগ ওঠে পশ্চিম মেদিনীপুরে। অভিযোগের তির এলাকার এক কাউন্সিলর সহ তিনজনের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে সম্প্রতি জেলার পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন নির্যাতিতা। অভিযুক্ত ওই কাউন্সিলরকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, ঘটনাটি ঘটেছিল মাস তিনেক আগে। ২৫ জুলাই ওই মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। ঘটনার জেরে এর আগে থানায় এফআইআর করা হলে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু কাউন্সিলর ও অপর এক ব্যক্তি গ্রেফতার হয়নি। সেই নিয়ে পুলিশ সুপারের কাছে লিখিতভাবে জানান ওই নির্যাতিতা।

ঘটনার পর থেকে প্রায় তিন মাস ধরে ওই নির্যাতিতা যুবতীকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এমনকী প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলেও দাবি নির্যাতিতার। যদিও এই ঘটনায় যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই কাউন্সিলর। তিনি জানিয়েছেন, ওই মহিলার সঙ্গে একজনের সঙ্গে কয়েক বছর ধরে সম্পর্ক ছিল। তিনি আমার কাছে এসে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। আমরা কথাবার্তা বলে, তাঁদের বুঝিয়েছিলাম। কোনওরকম সাহায্যের প্রয়োজন হলে, তাও করা হবে বলে জানিয়েছিলাম।” ওই মহিলার একাধিক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কের কথাও তিনি শুনেছেন বলে পাল্টা দাবি করেন ওই কাউন্সিলর। ওই মহিলাকে ভাল পাত্র দেখে বিয়ে করে নেওয়ার কথাও তিনি বলেছিলেন বলে দাবি। কাউন্সিলের সন্দেহ, এই ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক কোনও ষড়যন্ত্রও থাকতে পারে। টাকা দিয়ে এই কেস করানো হয়েছে বলে সন্দেহ তাঁর।

প্রসঙ্গত, রাজ্যে নারী নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে এর আগেও একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে। অতীতে হাঁসখালি, মাটিয়া থেকে শুরু করে রাজ্যের একাধিক প্রান্তে ধর্ষণের অভিযোগে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। হাঁসখালির ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এর পাশাপাশি রাজ্যের একাধিক ধর্ষণ ও নির্যাতনের মামলার তদন্তভার দুঁদে আইপিএস দময়ন্তী সেনের হাতে তুলে দিয়েছে হাইকোর্ট। এমন পরিস্থিতিতে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই ফের চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।