Medinipur: SIR আবহে বাতিল প্রাথমিকের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, জোর রাজনৈতিক তরজা
Medinipur School: রাজ্য স্তরের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা স্থগিত হওয়াকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। বিজেপির তরফে দাবি করা হচ্ছে, এই ক্রীড়াসূচি বাতিল করা দেখেই বোঝা যাচ্ছে দুমুখো নীতি শাসকদল তৃণমূলের। একদিকে প্রথম দিন থেকে এসআইয়ারের নামে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে তৃণমূল।

মেদিনীপুর: SIR আবহে স্থগিত হয়ে গেল প্রাইমারি স্কুল বোর্ডের রাজ্য ক্রীড়া প্রতিযোগিতা! সমস্ত জেলার ডিপিএসসির চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হল নোটিস! জারি রাজনৈতিক তরজা। ডিপিএসসি-র কাছে দেওয়া নোটিসে উল্লেখ রয়েছে, ১৭ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্য স্তরের যে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হওয়ার কথা ছিল তা আপাতত বাতিল করা হয়েছে। পরবর্তী নির্ঘণ্টও দ্রুত জানানো হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে নোটিসে।
এবিষয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর ডিপিএসসির চেয়ারম্যান অনিমেশ দে নোটিস প্রাপ্তির কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ক্রীড়া সূচি বাতিলের পেছনে অনেকগুলি কারণের মধ্যে একটি এসআইআর। কারণ স্কুলের শিক্ষকরা অনেকেই বিএলও হিসাবে নিযুক্ত হয়েছেন। উল্লেখ্য, রাজ্য জুড়ে যে এসআইআর-এর কাজ চলছে সেখানে বিএলও হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন সিংহভাগ প্রাথমিক শিক্ষকরা।
রাজ্য স্তরের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা স্থগিত হওয়াকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। বিজেপির তরফে দাবি করা হচ্ছে, এই ক্রীড়াসূচি বাতিল করা দেখেই বোঝা যাচ্ছে দুমুখো নীতি শাসকদল তৃণমূলের। একদিকে প্রথম দিন থেকে এসআইয়ারের নামে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে তৃণমূল। অন্যদিকে এসআইআর-এর জন্য বাতিল করে দিচ্ছে রাজ্যস্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।
ঠিক উল্টো সুর শাসক দল তৃণমূলের গলায়! তৃণমূলের নেতা বুদ্ধদেব মণ্ডল বলেন, “এসআইআর-এর কাজে নিযুক্ত বিএলও-দের কথা মাথায় রেখে, তাদের যাতে সুবিধা হয় সেই ভাবনা থেকেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।”
তবে WBPTA এর জেলা নেতৃত্ব এই স্থগিত অজাকে স্বাগত জানিয়েছেন। WBPTA এর জেলাস্তরের নেতা অমিত পাত্র বলেন, “প্রাথমিক স্কুলের বেশিরভাগ শিক্ষক শিক্ষিকা রায় যুক্ত বিএলও-এর কাজে, একদিকে স্কুল, সঙ্গে বিকিও-র কাজ। তার পাশাপাশি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হলে আরও চাপ বাড়ত প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের” খেলা আপাতত স্থগিত হওয়ায় স্বস্তিতে শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। উল্লেখ্য, চলতি মাসে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ নির্দেশ দেয়, চলতি শিক্ষাবর্ষের মধ্যেই শেষ করতে হবে প্রাথমিকের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে জেলাস্তরের প্রতিযোগিতা শেষ করার কথা বলা হয়েছিল নির্দেশিকায়। কিন্তু এর মধ্যেই এসআইআর-এর কাজ, তাতেই চাপ!
