Ghatal School: প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ, তড়িঘড়ি স্কুল পরিদর্শনে গেলেন মহকুমা শাসক
Ghatal: কেন এলাকার মানুষ তাঁদের ছেলেমেয়েদের এই স্কুলে পাঠাচ্ছেন না, তা জানতে চান মহকুমাশাসক। এলাকার অভিভাবকরা সাফ জানিয়ে দেন, প্রধান শিক্ষিকার দুর্ব্যবহারের জন্যই তারা তাদের ছেলেদের এই স্কুলে পাঠাচ্ছেন না।
ঘাটাল : শুক্রবার খড়ারের সাঁতরাপাড়া প্রাথমিক স্কুল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস। স্কুলে পৌছে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেন সুমন বাবু। কেন এলাকার মানুষ তাঁদের ছেলেমেয়েদের এই স্কুলে পাঠাচ্ছেন না, তা জিজ্ঞাসা করেন তিনি। এলাকার অভিভাবকরা সাফ জানিয়ে দেন, প্রধান শিক্ষিকার দুর্ব্যবহারের জন্যই তারা তাদের ছেলেদের এই স্কুলে পাঠাচ্ছেন না। তাঁদের কথা শোনার পর এলাকার মানুষদের মহকুমাশাসক বুঝিয়ে অনুরোধ করেন, ছোটদের স্কুলে পাঠানোর জন্য। পাশাপাশি, এলাকার অভিভাবকদের অভিযোগের বিষয়টিও খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন তিনি। এর পাশাপাশি ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ব্রততী হাজরা মণ্ডলের সঙ্গেও দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন মহকুমা শাসক।
স্কুলের শিক্ষকদের প্রতি মহকুমা শাসক স্পষ্ট বার্তা দিয়ে রেখেছেন, এলাকার মানুষদের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক রেখে, তাঁদের ছেলেমেয়েদের যাতে এই স্কুলে পাঠানো হয়, তার জন্য অনুরোধ জানাতে হবে। এর জন্য প্রয়োজনে প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলতেও নির্দেশ দিয়েছেন মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস। স্কুল বিল্ডিং এবং সবরকম পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও সেখানে পড়ুয়া না থাকার খবর আগেই প্রকাশিত হয়েছিল। স্কুলের ছাত্র সংখ্যা খাতায় কলমে নয় জন। স্থানীয়দের দাবি তিন জন। স্কুলের শিক্ষক সংখ্যা মাত্র দুই। স্থানীয়দের অভিযোগ, স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার দুর্ব্যবহারের কারণেই আসতে চায় না পড়ুয়ারা।
এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরের দিনই সাঁতরাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে যান ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস। সুমন বাবু জানিয়েছেন, স্কুলের সব পরিকাঠামোই ভাল রয়েছে। কিন্তু ছাত্র সংখ্যা কম। আমি অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেছি এবং স্কুলের দুই শিক্ষককে ছাত্র সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনে প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ দিয়েছি।
তিনি বলেন, “স্কুলে এই মুহূর্তে খাতায় কলমে নয় জন ছাত্র রয়েছে। যদিও প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে কোনও ছাত্র নেই। প্রি-প্রাইমারিতে ছাত্র আছে। শিক্ষকরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কিছু ভর্তি করিয়েছেন। আরও বেশি করে বাড়ি বাড়ি যাওয়া দরকার শিক্ষকদের। ক্লাসের সময়ের বাইরে যদি অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে ছাত্রদের এখানে ভর্তি করানো যায়, তাহলে সংখ্যা একটু বাড়বে।”